গতকালই দিল্লীর শান্তি কামনায় রাজঘাটে গিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। আর এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দিল্লীর হিংসা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। হিংসার রাজনীতি আর বরদাস্ত করা হবে না।’
এদিকে দিল্লী হিংসার প্রথম বলি ছিলেন হেড কনস্টেবল রতন লাল। বুধবারই চোখের জলে তাঁকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রতন লালের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা করলেন, ‘রতন লালের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে দিল্লী সরকার। এমনকি চাকরি পাবেন পরিবারের এক সদস্যও।’ একইসঙ্গে উষ্মাপ্রকাশ করে তিনি বললেন, ‘দিল্লীর আম আদমি হিংসার সঙ্গে যুক্ত নয়। বরং বহিরাগতদের উসকানিতেই হিংসা ছড়িয়েছে। হিন্দু, মুসলিম উভয়পক্ষই যার শিকার হয়েছেন।’
তাঁর কথায়, ‘দিল্লীর মানুষের সামনে এখন দু’টো পথ খোলা রয়েছে। একে সকলে হাতে হাত মিলিয়ে হিংসা রুখবে। নয়তো একে অপরকে খুন করুক। কিন্তু মৃতদেহের পাহাড়ের উপর নতুন দিল্লী তৈরি করা সম্ভব নয়।’ এরপর কিছুটা রুষ্ট হয়েই তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এভাবে আর চলতে পারে না। হিংসার রাজনীতি, ঘৃণার রাজনীতি, মানুষ খুনের রাজনীতি, ঘর জ্বালানোর রাজনীতি আর বরদাস্ত করা হবে না।’ এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজধানীর রাস্তায় আরও একবার সেনা নামানোর পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি।
এদিকে এদিনই কার্ফুর মধ্যেই ভগবানপুরে স্কুলবাসে লাগানো হল আগুন। এমনকি নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৪। দিল্লীর এহেন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে গতকাল দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরিস্থিতি ক্রমশ দিল্লী পুলিশের হাত থেকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার কথাও জানান। আবেদন করে টুইট করেন, ‘দিল্লীর একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত আবেদন, আপনি দিল্লীতে সেনা মোতায়েন করুন।’