দিল্লী পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। গত দু’মাস ধরে দিল্লীর নানা জায়গায় সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদ, আন্দোলন চলছে। এই আবহে দিল্লী পুলিশের আরও তৎপর থাকা উচিত ছিল। বিশেষত রবিবার নতুন করে হিংসা ছড়ানোর পর। না কোনও বিরোধী নেতার মন্তব্য নয়। এবার এমনই কথা শোনা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকা নিয়ে। শাহ ঠিকভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেননি বলেই দিল্লীতে আগুন জ্বলছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়ে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের উসকানিমূলক ভাষণ ও মন্তব্যকেও দায়ী করছে বিজেপির একাংশ।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে দাঙ্গার ২৪ ঘন্টার পরেও পরিস্থিতির এতটুকু উন্নতি নেই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকরি, রাজনাথ সিংয়েরা। মূলত বিজেপি নেতাদের উসকানিমূলক মন্তব্যকেই দায়ী করছেন অনেকে। গোয়েন্দা পুলিশের গোপন রিপোর্টেও তেমন দাবি করা হয়েছে বলে খবর। খোদ দিল্লী বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারিও এখন বলছেন, ‘উসকানিমূলক ভাষণ থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত।’ এর মধ্যে কপিল মিশ্রর হুমকি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দলের সাংসদ গৌতম গম্ভীর। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন মন্তব্য কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। তা সে কপিল হোক বা যে কেউ, উসকানি দিলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ সূত্রের খবর, চাপে পড়ে এখন কপিলকে বহিষ্কারের কথা ভাবছে বিজেপি।