আনুষ্ঠানিকভাবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল কলকাতার নতুন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর। কিন্তু এই উদ্বোধনের দশ দিনের মধ্যেই ফের এবস্র ঘটল ছন্দপতন। এদিন মেট্রো পৌঁছনোর পরও খুলল না প্ল্যাটফর্মের স্বয়ংক্রিয় কাঁচের দরজা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টার পরও খোলা যায়নি সেই দরজা। অবশেষে চাবি দিয়ে স্ক্রিন ডোর খুলে দেন এক কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
এদিন দুপুর ১টা ৫০ নাগাদ সল্টলেক স্টেডিয়ামগামী মেট্রো সেক্টর ফাইভ স্টেশনে ঢোকে। স্বাভাবিকভাবেই স্ক্রিন ডোরের সামনে ভিড় করেছিলেন অপেক্ষারত যাত্রীরা। কিন্তু মেট্রোটি স্টেশনে ঢোকার পর খুললই না একটি স্ক্রিন ডোর। সেই কারণে খোলেনি মেট্রোর একটি দরজাও। মেট্রো চালকের নজরে পড়তে তিনিও চেষ্টা করেন দরজা ও স্ক্রিন ডোর খোলার। কিন্তু নাহ। তাতেও ব্যর্থ হন তিনি। এরপরই স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক চাবি দিয়ে স্ক্রিন ডোর খোলেন। ফলে কিছুটা দেরিতে স্টেশন ছাড়ে মেট্রো। কর্তৃপক্ষের কথায় অনেক, সময়ে তড়িৎ-চুম্বকীয় সংকেত ঠিক মতো বুঝতে না পারায় দরজা খোলার যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করে না।
দীর্ঘ টালবাহানার পর চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম অবধি আংশিকভাবে পথচলা শুরু করেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই এগিয়ে এই মেট্রো। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি স্টেশনে বসানো হয়েছে স্ক্রিন ডোর। স্বাভাবিকভাবেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে ভোগান্তির শিকার হতে হবে না, এমনই ধারণা ছিল যাত্রীদের। তবে এদিন এমন ঘটনা ঘটনায় রীতিমত মুখ পুড়ল মেট্রো কর্তৃপক্ষের।