২০১৪ তে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন, তিনি নাকি এককালে চা বিক্রেতা ছিলেন। প্রবল দারিদ্রের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে আজ দেশের সর্বোচ্চ শাসক তিনি। কথা হচ্ছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে। ভোটমঞ্চে নিজের প্রচার থেকে তাঁর জীবনীমূলক সিনেমা মোদীজির চা বিক্রিকে আলাদা আঙ্গিক থেকে তুলে ধরেছে বিজেপি। স্টেশনের উপর মোদীজির বাবার চায়ের দোকান। আর সেই দোকানে চা বিক্রি করছেন ছোট্ট নরেন্দ্র। তবে নরেন্দ্র দামোদার মোদী যে এককালে রেল স্টেশনে চা বিক্রি করে দিন গুজরান করেছেন এমন কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে। এক আরটিআইয়ের জবাবে সে কথাই বেশ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল ভারতীয় রেল।
‘চা বিক্রেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী।’ বাচ্চা থেকে বুড়ো ভারতে হেন কোনও মানুষ নেই যে গত কয়েক বছরে একথা শোনেননি। এককালে ছেলে ভোলানো কথা, ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে।’ আজকাল তাতে বেশ কিছুটা বদল এনে শুনতে পাওয়া যায় ‘চা বিক্রি করে যে প্রধানমন্ত্রী হয় সে।’ এমন পরিস্থিতিতেই উল্টো গান শোনা গেল কংগ্রেস সমর্থক তথা সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওল্লার এক আরটিআই রিপোর্টে। ভারতীয় রেলের কাছে তথ্য জানার অধিকার আইন (আরটিআই)-এ তিনি আবেদন করেন, মোদীজি কি কখনও রেল স্টেশনে চা বিক্রি করতেন? যদি তাঁর স্টেশনের উপর দোকান থেকে থাকে এবং তিনি যদি সেখানে চা বিক্রি করেন তবে তার তথ্য প্রমাণ তো অবশ্যই থাকবে রেলের কাছে।
তবে ওই সমাজসেবীকে রীতিমতো হতাশ করে ভারতীয় রেল জানিয়ে দেয়, ‘মোদী যে কখনও চা বিক্রি করেছেন এমন কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই।’ তবে রেল কর্তৃপক্ষের এহেন উত্তরে রীতিমতো হতাশ তেহসিনের পাশাপাশি গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠছে তবে কি মোদীজি কখনও চা বিক্রি করেননি? তা অবশ্য মানতে নয় বিজেপি ভক্তরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে স্টেশনে যদি চায়ের দোকান থেকে থাকে, আর সেখানে যদি মোদী নামের কেউ চা বিক্রি করেন তবে সে তথ্য তো থাকবে রেলের কাছে। যদিও নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্ক এই প্রথমবার নয়, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কম প্রশ্ন ওঠেনি গোটা দেশে। কিন্তু কেন্দ্রের রিপোর্টেই খোদ প্রধানমন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে, এমনটা বোধহয় এই প্রথম।