প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াই হোক বা অশালীন-বেফাঁস মন্তব্যের ফোয়ারা ছোটানো – সবেতেই গেরুয়া শিবিরের জুড়ি মেলা ভার। বিরোধী দলের নেতানেত্রীই হোক বা বিরোধী মত পোষণকারী কোনও বিশিষ্টজন, তাঁদের বিঁধতে গিয়ে বরাবরই বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। তবে সেই তালিকায় একটু ওপরের দিকেই নাম থাকে দিলীপ ঘোষের। তাঁর বক্তব্য নিয়ে বারবারই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। দিন কয়েক আগেই যেমন নদীয়ায় একটি জনসভায় তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর কথা বলে
রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন দিলীপ। এবার সেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে নন্দীগ্রামের সভা থেকে ফের বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের টেঙুয়া থেকে নন্দীগ্রাম বাজার পর্যন্ত অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। মিছিল শেষে নন্দীগ্রাম বাজারে সভা করার কথা ছিল দিলীপ ঘোষের। অনুমতি না থাকায় সেই মিছিল ও সভায় বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করেই সভায় যোগ দেন রাজ্য সভাপতি। সেই সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া আক্রমণ করেন দিলীপ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এত বিশৃঙ্খলা, তিনিই রাজ্যে অশান্তি ছড়াচ্ছেন বলে দাবি করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। সেই সঙ্গে নাম না করেই আক্রমণ করেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষকে। এবং সবশেষে এদিনের সভা থেকে ফের তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, বাংলার সম্পত্তি নষ্ট করা হলে গুলি চলবেই।
প্রসঙ্গত, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হলে উত্তরপ্রদেশের মতো এরাজ্যেও গুলি চালানো হবে, রানাঘাটের সভা থেকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ করেছেন বলেই তাঁকে টুইটে তোপ দাগেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যা বলেছেন ভেবেচিন্তেই বলেছেন বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন নন্দীগ্রাম থেকে ফের সেই কথাই বললেন দিলীপ। যা নিয়ে আবার নতুন করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।