৮ জানুয়ারি বনধের নামে রাজ্যজুড়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসের ‘নোংরা’ রাজনীতির প্রতিবাদে ১৩ জানুয়ারির দিল্লী সফর বাতিল করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় সিপিএম এবং কংগ্রেস যেভাবে গুন্ডামি করছে, নোংরামি করছে, তাতে আমি দিল্লীর মিটিং বয়কট করছি। দিল্লী যাচ্ছি না। তবে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠক বয়কট করলেও তৃণমূল নেত্রীকেই পাশে চায় কংগ্রেস। এবার কলকাতায় এসে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়ে দিলেন, ‘একবার আসেননি তো কী হয়েছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার ডাকা হবে।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধের পর কলকাতায় আসেন চিদম্বরম। বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা চলে গিয়েছিলেন পার্কসার্কাস ময়দানের গণ অবস্থান মঞ্চে। আর আজ শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে চিদম্বরম বলেন, ‘বিরোধীদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক হতে পারে। সেখানে আবার ডাকা হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।’ উল্লেখ্য, শুধু মমতাই নন। সোনিয়ার ডাকা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন না ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, বসপার মায়াবতী, সপার অখিলেশ যাদবের মতো নেতারাও। পর্যবেক্ষকদের মতে, সে কারণেই হয়তো আরও একটি বৈঠক ডাকতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। আর সেখানে যে মমতাকে ফের গুরুত্ব দিয়েই ডাকা হবে সেটাই হয়তো বাংলায় এসে কৌশলে শুনিয়ে গেলেন চিদম্বরম।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটে বাংলার মাটিতে বাম-কংগ্রেস গুন্ডামি করেছিল বলে তোপ দেগেছিলেন মমতা। গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই কারণেই তিনি দিল্লীতে সনিয়ার ডাকা বৈঠকে যাবেন না। কিন্তু চিদম্বরম এদিন বলেন, ‘একসঙ্গে লড়াই হচ্ছে, না কেউ একা লড়াই করছে সেটা এখন বড় বিষয় নয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সবাই লড়াই করছে।’ এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘দেশের এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে সব বিরোধী দলগুলির একমঞ্চে আসাটা এখন সবচেয়ে জরুরি।’
এর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন চিদম্বরম। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘ওরা(বিজেপি) আসলে বুঝতেই পারছে না বিরোধীদের শক্তি ঠিক কতটা! সারা দেশে গণ আন্দোলন চলছে। পড়ুয়ারা মূল্যবোধের জন্য লড়াই করছে। আমি পার্কসার্কাসে দেখে এলাম বাড়ির বউরা সেখানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন চলছে দেশজুড়ে তাকে আরও তীব্র করতে হবে আগামী দিনে।’