দেশবাসীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া নীতি নিয়েছে মোদী সরকার। নোটবাতিল থেকে শুরু করে জিএসটি, কেন্দ্রের সব নীতিতেই হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। দেশের সব রাজ্যের ভাণ্ডারে বাকি কেন্দ্রের বকেয়া। জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ গত তিন মাসে পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দ হয়েছে ২২০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জানালেন, বকেয়া দাবি করে শীঘ্রই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবারই এই বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন পাঁচ বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। অমিতবাবুর দাবি, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনাগণ্ডা না পেয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও ক্ষুব্ধ। উল্লেখ্য, বিলাসবহুল পণ্য এবং পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর পণ্যের সেস থেকে রাজ্যগুলির রাজস্ব লোকসান মেটায় কেন্দ্র। কিন্তু অর্থনীতির ঝিমুনিতে বাজারে কেনাকাটা কমেছে। ফলে জিএসটি থেকে আয় কমেছে কেন্দ্রের। কমেছে সেস সংগ্রহও। যে কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ এখনও রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দিতে পারেনি কেন্দ্র।
অমিত মিত্রের কথায়, ‘‘কেন টাকা দিচ্ছে না, তার কোনও স্পষ্ট কারণ কেন্দ্র জানায়নি। অথচ রাজ্যগুলিকে ওই লোকসান মিটিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে কেন্দ্র সাংবিধানিক ভাবে দায়বদ্ধ।’’ কয়েকটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের আশঙ্কা, আগামী দিনে কেন্দ্র সেই দায় অস্বীকার করার পথে হাঁটবে না তো! তাঁর অভিযোগ, অর্থনীতির এই পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী নোটবন্দি এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়া তড়িঘড়ি জিএসটি রূপায়ণ।
অমিতবাবু আরও বলেন, ‘‘নোট বাতিল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য হারিকিরি ছিল।’’ তাঁর মতে, কালো টাকা রুখতে ২০১৬ সালে নোট বাতিল করা হলেও, পরের বছরে কালো টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। আবার জিএসটির মাধ্যমে কেন্দ্র কর ফাঁকি রোখার দাবি করলেও কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সংসদে জানিয়েছেন, জিএসটিতে মোট ৪৪,০০০ কোটি টাকার জালিয়াতি ধরা পড়েছে।