মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে নাটক অব্যাহত। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে বেশ কিছুদিন হতে চলল। তবে এখনও কে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন তা ঠিক হয়নি। এই রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী দল তথা বিজেপির শরিক শিবসেনার সঙ্গে মত পার্থক্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে টালবাহানা চলছে। পাশাপাশি এনসিপির সঙ্গেও জোট নিয়ে জল্পনা। তার মধ্যেই কোনো দল সময়সীমার মধ্যে সরকার গড়তে না পারায় মহারাষ্ট্রে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। তা সত্ত্বেও বিজেপিকে বাইরে রেখে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে অন্য তিনটি বড় দলই।
মহারাষ্ট্র নিয়ে ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি (কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম) তৈরি করতে একের পর বৈঠক করছে কংগ্রেস-এনসিপি এবং শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকে সামনে রেখেই এই কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে। কংগ্রেসের এক বরিষ্ঠ নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচির খসড়ায় সহমত হতে হবে তিন দলের নেতৃত্বকেই। তারপরেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
সূত্রের খবর, ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি তৈরি করতে আলাদা আলাদা ভাবে এই তিন দল বারবার বৈঠক করছে। তবে কংগ্রেসের সঙ্গেও যে এখন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) দূরত্ব বাড়ছে, সেই ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। এনসিপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী অজিত পওয়ার জল্পনা উস্কে দিয়ে বুধবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়েছে এবং তিনি বারামতী যাচ্ছেন। যদিও পরে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার জানান যে, গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই এই মন্তব্য করেছিলেন তাঁর ভাইপো অজিত। পরে এনসিপির এক নেতা জানান, বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, “এনসিপি ও কংগ্রেস চাইছে গোপনীয়তা বজায় রাখতে, গণমাধ্যমে কিছু প্রকাশ হয়ে যাক, তা কোনও দলই চাইছে।”
বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বিরীজ চৌহান বলেন যে, সরকার গড়া নিয়ে এখন আলোচনা একেবারে প্রাথমিক স্তরে এবং এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি জানান, ক্ষমতা-বিভাজনের সূত্র নিয়ে বুধবার তাঁদের সঙ্গে এনসিপির মধ্যে কথা হয়েছে। চৌহান বলেন, “কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনার মধ্যে এখনও পর্যন্ত আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আজও দুই দলের মধ্যে বৈঠক হতে হবে। সহমত হলে আমরা শিবসেনার সঙ্গে কথা বলব।”