শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইম। কর্নার কিক নিতে বল নিয়ে দৌড়লেন ব্রেন্ডন। তাঁর মাপা কিক থেকে হেডে বল আফগানিস্তানের জালে জড়িয়ে দিলেন ডঞ্জেল। আফগানিস্তানের প্রায় জেতা ম্যাচ মুহূর্তে হাত থেকে বেরিয়ে গেল। আর হারতে বসা খেলা ড্র করে আরও একবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়ার স্বপ্ন জিইয়ে রাখলেন সুনীল ছেত্রীরা। তবে চার ম্যাচেই জয় অধরা থাকায় মূলপর্বে যাওয়ার আশা বেশ ক্ষীণ ভারতের।
আফগানিস্তানের সঙ্গে ড্র করে প্রাক বিশ্বকাপে ভারতের সম্ভাবনা যদি, কিন্তু হিসেবের মধ্যে। পরের ম্যাচ ওমানের মাটিতে, ১৯ নভেম্বর। সেই ম্যাচ প্রাক বিশ্বকাপ পর্বে ভারতের টিকে থাকার লড়াইয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। কারণ, আফগানিস্তানের থেকে ওমান আরও শক্তিশালী।
স্টিম্যাচ দায়িত্ব নেওয়ার পরে ভারতীয় ফুটবলে উন্নতির কোনও লক্ষণ খুব বেশি দেখা যায়নি। রক্ষণে পুরনো রোগ সারেনি। বিরতির ঠিক পরেই মন্দার রাও দেশাইকে তুলে নামানো হয়েছিল ফারুখ চৌধুরীকে। রক্ষণে আদিল খান ছাড়া কাউকে মনে হয়নি, জেতার মানসিকতা রয়েছে।
ছবিটা বদলে গিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে। আফগানিস্তানের পেনাল্টি বক্সে খেলা হয়েছে বেশিরভাগ সময়। সুনীল ছেত্রী দু’বার গোল করার মতো জায়গা পৌঁছে গিয়েছিলেন। একবার তাঁর হেড গোললাইন থেকে বাঁচান আফগান কিপার। আগেরবার কর্নার থেকে একবার ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন। তাঁর হেড ক্রস পিসের উপর দিয়ে চলে যায়। দিনের সহজতম সু়যোগটি এ ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় বেশির ভাগ সময়ে সুনীলদের দাপটে আফগানরা কিছুটা হলেও ঝামেলায় মধ্যে ছিল। সে সময় জিতেও ফিরতে পারত ভারত। কিন্তু গোল মিসের বহর দেখলে লজ্জা লাগে। বার কয়েক আফগান গোলকিপার বাঁচিয়েছেন নিশ্চিত গোল। দুরপাল্লার শট থেকে পরপর গোলার মতো শট আছড়ে পড়েছিল আফগান সীমানায়। ইনজুরি টাইমে লেনের গোল কর্নার থেকে। ব্র্যান্ডনের কর্নার থেকে পরিবর্ত সেইমিনলেন ডোঙ্গেলের হেডে গোল, যা আফগান কিপার বলের নাগাল পর্যন্ত পাননি। ভারতীয় ফুটবলে তিনি লেন নামে পরিচিত।
দুসানবেকে হাতের তালুর মতোই চেনে আফগানিস্তান। তার উপর বাংলাদেশকে হারিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ফুটবলাররা। শুরু থেকে তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সে ছবি ধরাও পড়ল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমেই নাজারির দুর্দান্ত গোল এগিয়ে দেয় আনাউস দাস্তাগিভর দলকে। গোটা ম্যাচে তাঁদেরই আধিপত্য চোখে পড়ল। এমনকী প্রথমার্ধে একটি নিশ্চিত গোল বারে লেগে ফিরে আসে। এদিকে জঘন্য মিসপাসের খেসারত দিতে হল ভারতকে। বাংলাদেশের পর তুলনামূলক দুর্বল আফগানদের বিরুদ্ধেও অধরা জয়। ১৯ নভেম্বর ভারতের পরের ম্যাচ ওমানের বিরুদ্ধে। ডু অর ডাই ম্যাচে সুনীলরা কী করেন, সেদিকেই তাকিয়ে দেশবাসী।