দক্ষিণ সিকিমের সদর শহর নামচি। ওক পাইনের দেশ। মেঘ এসে দরজায় কড়া নাড়লে তবে ভোর হয় এখানে। এই পাহাড়ি শহর নামচি থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা সমেত অন্যান্য তুষারশৃঙ্গের অপরূপ দৃশ্য যেমন দেখা যায়, তেমনই চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ সবুজ উপত্যকার এক সুন্দর দৃশ্য। নামচি নিজের মতো করে সুন্দর। প্রকৃতি এখানে নিজেকে নানা রঙে, মেঘে, কুয়াশায় সাজিয়েছে। শুধু নামচি নয়, এর আশেপাশেও দেখার মতো অনেক জায়গাই রয়েছে।
শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত সামদ্রুপচে। এখানে ১৩৫ ফুট উঁচু গুরু পদ্মসম্ভবের মূর্তিটি সত্যিই দেখার মতো। সামদ্রুপচের ঠিক নীচের ঢালেই রয়েছে রক গার্ডেন। আলে গুম্ফা, বাইচুং স্টেডিয়াম দেখে চলে যান সোলোফোকে। এখানেই গড়ে উঠেছে সেই বিখ্যাত ‘চারধাম’। নামচি শহর থেকে দূরত্ব মাত্রই ৫ কিলোমিটার। ২০১১ সালে ৫৬ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছিল এই চারধাম। এইসব জায়গা গুলো ঘুরতে একটা গোটা দিন হাতে রাখা ভালো। নামচি থেকে খুব কাছেই অবস্থিত টেমি টি গার্ডেন। দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। পাহাড়ের ঢালে তরঙ্গায়িত চা-বাগানের চোখজুড়নো দৃশ্য আকৃষ্ট করবেই।
যাত্রাপথ
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নামচির দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে নামচি থেকে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা। পৌঁছতে সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘণ্টা। পুরো গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৩০০০-৩৫০০ টাকা।