আইএসএলের অন্যান্য ম্যাচের তুলনায় আজকের ম্যাচটা যেন মারাত্মক হাইভোল্টেজ। আজ এটিকের মুখোমুখি হতে চলেছে জামশেদপুর। হাইভোল্টেজ হওয়ার অন্যতম কারণ হল আজ নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে নামতে চলেছে জবি জাস্টিন।
গত মরসুমে আই লিগে আইজল এফসি ম্যাচে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় ছ’ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছিলেন জবি। দিতে হয়েছিল এক লক্ষ টাকা জরিমানাও। এটিকের জার্সিতে প্রথম তিনটি ম্যাচ মাঠের বাইরে বসে কাটাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার যন্ত্রণাও। শনিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচটা তাঁর কাছে যেন মরণ-বাঁচন লড়াই। যে কোনও মূল্যে প্রথম দলে থাকতে চান তিনি। সে ক্ষেত্রে অন্য পজিশনেও খেলতে আপত্তি নেই জবির।
এটিকে এবং জামশেদপুর এফসি এই দুই দলের লড়াই ছাড়াও আজ সমর্থকদের প্রধান উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে মূলত দুজনের লড়াই। এক জন এটিকের জার্সিতে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া। তিনি, জবি জাস্টিন। অন্য জন আজ এটিকের বিরুদ্ধেও দুর্ভেদ্য হয়ে উঠতে চান। তিনি, ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক সুব্রত পাল।
জবি আজকের ম্যাচে স্কোয়াডে থাকবেন। প্রথম একাদশে থাকবেন কিনা স্পষ্ট করেননি আন্তোনিও হাবাস, ‘ম্যাচের দিন সকালে প্রথম এগারো তৈরি করি। তবে আমার প্ল্যান–এ, প্ল্যান–বি তৈরি।’
তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ না খেললেও জবি যে হাবাসের পছন্দের ফুটবলার হয়ে উঠেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। নির্বাসনের কারণে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত এটিকে স্ট্রাইকারকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন নিজের ফুটবল জীবনের কাহিনি শুনিয়ে।
অন্যদিকে জামশেদপুর এফসি-র রক্ষণের শেষ প্রহরী সুব্রতের পাখির চোখ জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটানো। তাঁর জন্য সব ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে যেতে চান। আগের ম্যাচে সুব্রতের হাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সুনীল ছেত্রীদের জয়ের স্বপ্ন। এ বার তাঁর লড়াই রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, মাইকেল সুসাইরাজ, জবি জাস্টিনদের বিরুদ্ধে। জামশেদপুর গোলরক্ষক বলছেন, ‘‘সব ম্যাচই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব ম্যাচেই একশো দশ শতাংশ উজাড় করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘এটিকে দারুণ দল। তার উপরে হাবাসের মতো কোচ রয়েছেন। তবে আমাদের কোচও প্রস্তুত।’’
আজকের ম্যাচ দুই স্প্যানিশ মগজাস্ত্রের লড়াই। দু’ দলের দুই স্প্যানিশ সেনাপতি। তাই তিকিতাকা বনাম তিকিতাকার লড়াইতে শেষ হাসি কে হাসবে তা নির্ধারিত হবে আজ রাতেই।