যেদিন রোহিতের ব্যাট কথা বলে সেদিন বিপক্ষ খড়কুটোর মতো উড়ে যায়। গতকাল তেমনই এক দিন ছিল রাজকোটে। রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটের দাপটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৩ রান করে টাইগাররা। জবাবে ১৫ ওভারেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় রোহিত বাহিনী। রোহিতের এই বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখার পরে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগের উপলব্ধি, রোহিত যা পারেন, তা বিরাট কোহালিও পারেন না।
রাজকোটে শততম টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রোহিত। পাহাড়প্রমাণ চাপে ছিলেন তিনি। কারণ তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটাই হারতে হয়েছিল ভারতকে। সিরিজে পিছিয়ে থেকে রাজকোটে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। হেরে গেলে সিরিজই হারতে হত ‘টিম ইন্ডিয়া’কে।
এই পরিস্থিতিতে রোহিত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের রান তাড়া করতে নেমে ধ্বংসলীলা শুরু করেন ‘হিটম্যান’। ৪৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। তাঁকে থামানোর মতো কোনও অস্ত্রই ছিল না বাংলাদেশের হাতে। ম্যাচের রাশ নিয়ে নেন ভারত অধিনায়ক। রোহিতের মারমুখী ইনিংসের মুগ্ধতা দু’চোখে নিয়ে নজফগড়ের নবাব বলছেন, ‘‘এক ওভারে তিন-চারটে ছক্কা হাঁকানো বা ৪৫ বলে ৮০-৯০ রান করা একটা শিল্প। রোহিতের মতো এ ভাবে নিয়মিত বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে আমি কোহালিকেও দেখিনি।”
সহবাগের মতে, রোহিতের মধ্যে ঢিলেঢালা একটা ব্যাপার রয়েছে। বাইরে আগ্রাসন প্রকাশ করেন না। কিন্তু, ব্যাট হাতে নিলেই তাঁর আগ্রাসী খেলা নজরে পড়ে। যদিও শরীরী ভাষায় দেখা যায় না সেই আগ্রাসন। রোহিতের কথা বলতে গিয়ে সহবাগ ফিরে যান নিজের খেলার সময়ে। সেই সময়ে রান করা প্রসঙ্গে সচিন তেন্ডুলকর নিজের উদাহরণ টেনে বাকিদের বলতেন, ‘‘আমি যদি করতে পারি, তা হলে তোমরা পারবে না কেন।’’ সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বীরু বলেন, ‘‘সচিন এটা বুঝত না যে, ঈশ্বর একজনই হয়। ঈশ্বর যেটা করতে পারেন, সেটা বাকিদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।’’ একই সুরে সহবাগ বলেছেন, ‘‘রোহিত নিজেকে সচিনের জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। রোহিত যা করছে, তা এখনকার সময়ের অনেকেই করতে পারবে না।’’