গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে টালা ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শহরতলির বাসের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে শ্যামবাজারে পৌঁছনোর জন্য বেলগাছিয়া সেতু ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে ওই সেতুর উপর চাপ বেড়েছে। গত দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করার জেরে বেলগাছিয়া সেতুর কতটা অবনতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে পূর্ত দফতরের থেকে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হল। টালা ব্রিজের মাটি পরীক্ষা করার জন্যে টেন্ডার ডাকল পূর্ত দফতর।
যান যন্ত্রণা কমাতে টালা ব্রিজের বিকল্প সেতু কোথায় হবে? ব্রিজের সমান্তরাল লকগেট উড়ালপুলের উভয় দিক দিয়ে যান চলাচল কতটা নিরাপদ? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সমীক্ষা শুরু করল পূর্ত দফতর। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সমীক্ষার রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়ার কথা। কলকাতা পুলিশও এ ব্যাপারে নিজেদের মতামত জানিয়ে নবান্নকে রিপোর্ট দিচ্ছে। তাই নতুন ব্রিজ নির্মাণে মাটি পরীক্ষারা জন্য অনলাইন টেন্ডার ডাকল পূর্ত দফতর। বিজ্ঞপ্তিবে বলা হয়েছে কাজ শুরুর ১৪ দিনের মধ্যে নবান্নে রিপোর্ট জমা দিতে হবে টেন্ডার পাওয়া সংস্থাকে।
পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, টালা ব্রিজের নিচে মাটির ভেতরে যে জলের, কেবলের, এবং বিদ্যুতের লাইন আছে, তার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা অবলম্বন করতে হবে। অর্থাৎ নতুন করে টালা ব্রিজ বানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন পরিষেবা যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই বিষয়গুলি দেখতে হবে। এখন মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেয় সরকার৷ সেদিকেই নজর থাকবে শহরবাসীর৷
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, টালা ব্রিজের বিকল্প হিসেবে প্রাথমিক ভাবে দু’টি সেতু তৈরির ভাবনা রয়েছে। টালা ব্রিজের বাম ও ডান দিকে অর্থাৎ গ্যালিফ স্ট্রিট এবং আরজি করের দিকে সেতু তৈরির ভাবনা রয়েছে। টালা ব্রিজ থেকে ঠিক কতটা দূরে বিকল্প সেতু দু’টি তৈরি হবে, সেটাই সমীক্ষকদের বিবেচ্য বিষয়।