১৯৯৯ সালের কার্গিল পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালে তাঁর নেতৃত্বেই ভারতীয় ক্রিকেট দল সিরিজ খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তানে। সেই সিরিজ ছিল যতটা না ছিল ক্রিকেটীয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল কূটনৈতিক পদক্ষেপ। সেই তিনিই, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিসিসিআই-এর নয়া সভাপতি। তাই প্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ বার কি তাহলে ভারত পাকিস্তান দ্বিদেশীয় সিরিজ হবে?
দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ৩ দিন পর অবশেষে সেই প্রশ্নে মুখ খুললেন মহারাজ। জানিয়ে দিলেন ভারত পাকিস্তান দ্বিদেশীয় সিরিজ হবে কিনা তা ঠিক করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। এ দিন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলে দেন, “এই ব্যাপারটা আপনারা গিয়ে মোদীজি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন।” কলকাতায় এ দিন সৌরভ বলেন, “এই সিরিজ হবে কি হবে না এটা দুটো দেশের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি বা বোর্ড কোনও উত্তর দিতে পারব না।”
আগামী ২৩ তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নেবেন দাদা। বুধবারই মুম্বইয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করে কলকাতায় ফিরেছেন। সে দিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মূল লক্ষ্য প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া। একই সঙ্গে সামনের বছর রয়েছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজের প্রশ্নকে কার্যত বাপি বাড়ি যা ঢং এ মাঠের বাইরে বার করে দিয়েছেন নয়া বোর্ড সভাপতি।
পুলওয়ামা পরবর্তীতে ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। তার উপর কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহারের পর নয়া দিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক চাপানউতোর আরও তুঙ্গে ওঠে। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ করাকে কার্যত রুটিনে পরিণত করে ফেলেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা টিম গিয়েছিল পাকিস্তান সফরে।
কিন্তু ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার টিম বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনার কথা মনে করে মালিঙ্গা, ম্যাথিউসদের মতো একাধিক খেলোয়াড় যাননি পাক সফরে। তখনও পাক ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভারতের চাপেই নাকি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও লঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড পাক বোর্ডের এই কথাকে ‘বোগাস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সৌরভ পাক সিরিজের ব্যাপারে নিজের কোর্ট থেকে বল প্রথম দিনই পাঠিয়ে দিলেন দিল্লীর দিকে। এখন দেখার দুই দেশের প্রধানরা এই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়।