মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিনই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল যে ‘আর্থিক সংস্কারের’ নামে নামে এবার এমনই এক সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র, যার ফলে কোপ পড়বে দেশের ৪২ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ওপর। অবশেষে বাজেট পেশের দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, রেল এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। যা নিয়ে প্রথম থেকেই সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। তবে এই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে এবার নজিরবিহীন ভাবে মুখ খুলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘেরই শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)।
ইন্দিরা গান্ধীর জনবিরোধী নীতিকেই অনুসরণ করছে বর্তমান সরকার। এটা রুখতেই হবে। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়ে রবিবার মোদী সরকারকে এভাবেই আক্রমণ করেছে বিএমএস। যদিও পুরনো অবস্থা থেকে সামান্য সরে এসে নাগপুরে দশমীর দিন সঙ্ঘ প্রধাম মোহন ভাগবত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রয়োজনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘেরই শ্রমিক সংগঠন বিএমএস এবার তা নিয়ে আপত্তি তোলায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএমএসের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় রবিবার বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী দেখানো বেসরকারিকরণের পথই অনুসরণ করছে এই সরকার। এটা বন্ধ করতেই হবে। বিএমএস রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এভাবে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনও একজোট হোক। সরকার যাতে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে তারও আবেদন করছি।’ শুধু তাই নয়। সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আগামী ১৫ নভেম্বর দিল্লীতে একটি বড়সড় সমাবেশের ডাক দিয়েছে এই শ্রমিক সংগঠন। সেখানেই ভবিষ্যৎ কর্মসূচী ঠিক হবে।