গত সোমবার পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে হারের পর এই মাঠই হয়ে উঠেছিল কুরুক্ষেত্র। যেই ঘটনার পর রেফারি নিগ্রহ কান্ডে অভিযুক্ত হয়ে নির্বাসিত হতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক লালরিন্ডিকা রালতে ও মেহতাব সিংকে। কিন্তু আজ সেই মাঠেই ফুল ফোটালেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এ দিন মাঝমাঠে প্রথম নামলেন স্প্যানিশ জুয়ান মেরা গঞ্জালেজ। আর নেমেই অনবদ্য ফুটবল খেললেন তিনি। তাঁর দাপটেই একের পর এক আক্রমণ তুলল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ফলে লাল-হলুদের কাছে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ হার মানল ৪-২ গোলে।
এ দিন শুরু থেকেই দাপট ছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজ মাঝমাঠে স্যান্টোস কোলাডোর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন জুয়ান মেরাকে। ফলে অনেক সপ্রতিভ লাগল লাল-হলুদ আক্রমণভাগকে। ১৮ মিনিটের মাথায় ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ হন কোলাডো। খেলার গতির বিপরীতে হঠাৎই ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৭ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত হিসেবে নামা তুহিন শিকদার বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করে এগিয়ে দেন কালীঘাটকে। গোল খাওয়ার পরেই তেড়েফুঁড়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। চার মিনিটের মধ্যেই জুয়ান মেরার কর্নার থেকে ফিরতি বলে গোল করে সমতা ফেরান বিদ্যাসাগর সিং।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলসংখ্যা বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ৬০ মিনিতের মাথায় পিন্টু মাহাতোর শট বের করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন কালীঘাটের ফুটবলার। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। পাঁচ মিনিট বাদে ফের জুয়ান মেরার থেকে বল পেয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন বিদ্যাসাগর। কিন্তু তিনি গোল করতে না পারলেও ফিরতি বলে গোল করেন কোলাডো।
৮২ মিনিটের মাথায় কালীঘাটের হয়ে ব্যবধান কমান রাকেশ পাসোয়ান। অবশ্য পরের মিনিটেই বোরহা গোমেজের লং বল ধরে আগুয়ান গোলকিপারকে পরাস্ত করে দলের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কোলাডো। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে জিতেই মাঠ ছাড়লেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এই জয়ের ফলে মোহনবাগানকে টপকে সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের প্রথম স্থানে থাকা পিয়ারলেস ও ভবানীপুরকে ছুঁয়ে ফেলল আলেহান্দ্রো ব্রিগেড।