সওয়াল জবাব শেষ। এ বার রায় দেওয়ার পালা। আগামী শুক্রবার রাজীব কুমার বনাম সিবিআই মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা। বুধবার এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমতি মিত্র। একইসঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, যতদিন না রায় দেওয়া হচ্ছে, ততদিন অন্তর্বতী নির্দেশ বহাল থাকবে। অর্থাৎ রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও কড়া পদক্ষেপ (গ্রেফতার) করতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই কি আদৌ সারদা মামলায় নোটিস দিয়ে সমন পাঠাতে পারে? কতটা আইনসিদ্ধ সেই প্রক্রিয়া? সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। গত মে মাসে এই মামলা শুরু হয় হাইকোর্টে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারিখ পিছিয়ে যায় বারবার। আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিদিন শুনানি শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টে। রাজীবের আইনজীবীর দীর্ঘ সওয়ালের পর পাল্টা সওয়াল শুরু করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। দীর্ঘ শুনানি শেষ হল বুধবার।
সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল শুরু করার পরের দিনই রাজীব কুমারের আইনজীবী বিচারপতিকে রুদ্ধদ্বার সওয়াল-জবাবের আবেদন জানান। মিলনবাবু এজলাসে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। বিচারপতি সেই আবেদন মেনে নেন। তবে আইনজ্ঞদের দাবি, শুক্রবারের রায়ের উপর নির্ভর করবে রাজীব কুমারের ‘ভাগ্য’। কারণ তিনি ওই মামলা সামনে রেখেই আদালত থেকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আইনি রক্ষা কবচ পেয়েছেন। সেই রক্ষা কবচ আর থাকবে কি না তা অনেকটাই নির্ভর করবে ওই রায়ের উপর।