প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের লেখা উদ্ধার করা এক দুরুহ ব্যাপার। তাই অনেক রোগীই বেশ উদভ্রান্ত হন এই বিষয়ে। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন থেকে প্রেসক্রিপশনে ওষুধের ডোজ লিখতে হবে বাংলায়। মমতার উদ্যোগে নতুন এই প্রকল্পটি চালু হয়েছে।
অনেক সময় ওষুধের ডোজ শুধু রোগীরাই নন, ওষুধের দোকানের কর্মচারীরাও প্রেসক্রিপশন বুঝতে পারেন না। দোকান থেকেই অনেকে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে ফোন করে ডোজ জেনে নেন। ভোগান্তি মেটাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বাংলায় লেখা ওষুধের ডোজের বিবরণ দিয়ে ই–প্রেসক্রিপশন চালু করেছে। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ইতিমধ্যে ওষুধের ডোজ বাংলায় লেখা হচ্ছে। গোটা রাজ্যেই এই নিয়ম চালু হবে। ওষুধের ডোজের ভাষা বাংলায় হওয়ায় রোগীরা তা সহজেই বুঝতে পারবেন।
বাংলায় লেখা এই ই-প্রেসক্রিপশন আপাতত এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি–সহ কয়েকটি জায়গায় চালু হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শঙ্করচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘এই ব্যবস্থায় অবশ্যই রোগীদের সুবিধা হবে। নিয়ম করে ঠিকমতো ওষুধ খেতে পারবেন। ভুলভ্রান্তি এড়ানো যাবে।’
বিশেষ সফটওয়্যারে মাউসের এক ক্লিকেই ওষুধের নির্দিষ্ট বিবরণ বাংলায় লেখা থাকছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘রোগীদের বোঝার সুবিধার্থে আমরা ই–প্রেসক্রিপশনে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করেছি। আপাতত যে সমস্ত হাসপাতালে পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ই–প্রেসক্রিপশন চালু হয়েছে সেখানে মাস দুয়েক হল বাংলা হরফে লেখা হচ্ছে ওষুধের ডোজ। ধাপে ধাপে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালেই এইরকম পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ওষুধের নাম ইংরেজিতে থাকবে তবে খাওয়ার বিবরণ বাংলাতে থাকছে। বোঝার অসুবিধার জন্য রোগীরা ওষুধ ঠিকমতো খেতেন না। এখন সবটাই কম্পিউটারে হওয়ায় বাংলায় চিকিৎসকদের সময়ও বেশি লাগছে না।’