আইফোন প্রেমীদের জন্যে সুখবর। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অ্যাপেলের একাধিক নতুন প্রোডাক্টের কথা ঘোষণা করলেন টিম কুক। গ্রাহকদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আইফোনের প্রসঙ্গে উঠতেই কুক জানালেন, তিনটি নতুন আইফোন নিয়ে আসছে অ্যাপল। আইফোন ১১, আইফোন ১১ প্রো এবং আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স। ১৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন মুলুক-সহ বিশ্বের ৩০টি দেশে লঞ্চ হবে আইফোন ১১। অনলাইন শপিং সেন্টারগুলিতে বিক্রি শুরু হয়ে যাবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে। ভারতের বাজারে আইফোন চমক দেখা যাবে ২৭ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ পুজোর আগেই হাতে উঠতে পারে আইফোন ১১। অলরেডি কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছেন ভারতের স্মার্টফোট-প্রেমীরা।
আইফোন ১১-তে রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে, আগের চেয়েও শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যাকআপ ডুয়াল ক্যামেরা-সহ একাধিক আকর্ষণীয় ফিচার। ৬.১ ইঞ্চি লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে আইফোন ১১-র মুখ্য আকর্ষণ। তা ছাড়া অ্যাপল-স্পেশাল এ১৩ বায়োনিক চিপও রয়েছে।
অ্যাপলের দাবি এই বায়োনিক এসওসি ফোনের বাজারে সবচেয়ে দ্রুততম সিপিইউ। এই ফোনের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটও অনেক বেশি ফাস্ট ও আপডেটেড। আইওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে চলা আইফোন ১১-এ থাকবে হ্যাপটিক টাচ সাপোর্ট।
আইফোন এক্সআরের থেকে আইফোন ১১-এর ক্যামেরা সেটআপ অনেক বেশি আধুনিক। ১২ মেগাপিক্সেল ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরার একটি ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল মেন শ্যুটার, অন্যটি আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল শ্যুটার। পোট্রেট মোড তো রয়েছেই, ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় থাকছে অটোম্যাটিক নাইট ভিশন। অর্থাৎ কম আলোতেও তোলা যাবে দুর্দান্ত ছবি।
ডলবি ভিশন ও ডলবি অ্যাটমসও সাপোর্ট করবে বলে অ্যাপলের কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন। আইফোন ১১ প্রো ও আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সে আগের আইফোনগুলোর চেয়ে যথাক্রমে ৪ ও ৫ ঘণ্টা বেশি সময় চার্জ থাকবে। পেছনের তিনটি ক্যামেরার প্রতিটিই ১২ মেগাপিক্সেলের। এর একটি ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ল্যান্স, আরেকটি আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল অন্যটি টেলিফোটো ক্যামেরা। প্রো সিরিজের এই আইফোনের সঙ্গে ১৮ ওয়াটের দ্রুত গতির একটি চার্জার দেওয়া হবে।
ক্যামেরা সেট আপ, আপডেটেড সফটওয়্যার, স্পেশাল অডিও, ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট, ব্যাটারি কোয়ালিটি সবেতেই বিশেষত্ব থাকছে আইফোনের এই নতুন ভার্সনে। ডিজাইন যেমন কেতাদুরস্ত, রঙেও তেমনি মনকাড়া। বেগুনি, সাদা, সবুজ, হলুদ, কালো ও লাল, এই ছয় রঙে আইফোন ১১-র ব্যাপারই আলাদা! ভারতের বাজারে ৬৪ জিবি ভ্যারিয়ান্টের আইফোন ১১-এর দাম শুরু হবে ৫৩ হাজার টাকা থেকে ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে। ১২৮ জিবি ও ২৫৬ জিবির ফোনও মিলবে। সেগুলির সম্ভাব্য দাম হতে পারে ৬৯,৯০০ টাকা ও ৭৯,৯০০ টাকা।