মুর্তাজা কুরেইরিসের ফাঁসি হবে না এমনটাই জানিয়েছে সৌদির সরকারি আধিকারিকরা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু অভিযোগ ছিল মুর্তাজার বিরুদ্ধে। সমকালীন বিশ্বে সবথেকে কনিষ্ঠতম এই বিদ্রোহী মুর্তাজা কুরেইরিস এখন সৌদি জেলে বন্দি৷ অভিযোগ তার যখন ১০ বছর বয়স, তখন সরকার বিরোধী সাইকেল মিছিলে অংশ নিয়েছিল৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই তথ্য দেয়৷
২০২২ সালে মুর্তাজা জেল থেকে ছাড়া পাবে৷ মুর্তাজার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটি হল সরাসরি নাশকতায় মদত দেওয়া৷ পুলিশের দাবি, মুর্তাজার বড় ভাই আলি কুরেইরিস আওয়ামিয়া শহরের থানায় পেট্রোল বোমা ছুঁড়েছিলেন৷ সেই সময় তার সঙ্গে ছিল মুর্তাজা। সেই ঘটনার পরে আলিকে মেরে ফেলা হয়৷ মুর্তাজার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সব অভিযোগ প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সরকার৷ সরকার দাবি জানায়, জেরায় সব স্বীকার করেছে মুর্তাজা৷ যদিও মুর্তাজার পরিবারের অভিযোগ, প্রবল অত্যাচার চালিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে৷
মুর্তাজার কি ফাঁসি হবে? নাকি তার শিরচ্ছেদ করা হবে প্রকাশ্যে? ভয়ঙ্কর সেই শাস্তির পদ্ধতি নিয়ে চলে জল্পনা৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলি সোচ্চার হতে শুরু করে৷ তাঁর ফাঁসির খবর নিয়ে সৌদি আরবের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে৷ আন্তর্জাতিক স্তরেও কুরেইরিসের এই বিষয়টি নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়৷ সেই সব বিরোধিতা-বিতর্ককে মাথায় রেখেই কুরেইরিসকে ফাঁসি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷