গো-রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরেই বৈতরণী পার হয় বিজেপি। ভোটের আবহে তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গোরু বিক্রির ‘অপরাধে’ পিটিয়ে মারা হল ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার এক স্থানীয়, দলিত মানুষকে।
ছোটোনাগপুর রেঞ্জের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল হোমকর অমল বেণুকান্ত জানিয়েছেন, দুমরি থানা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে, ছত্তীসগড় সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওঁরা ষাঁড় কাটছিলেন, কিন্তু উন্মত্ত জনতা কিছু না শুনেই, গোরু কাটার অপরাধে মারতে শুরু করেন ওঁদের।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে গুমলার ঝুমরো গ্রামে চার জন দলিত গোষ্ঠীর মানুষ একটি মৃত ষাঁড়ের মাংস কাটছিলেন। তখনই সংলগ্ন জয়রাগি গ্রাম থেকে কয়েক জন এসে তাঁদের বাধা দেন। শুরু হয় বচসা, হাতাহাতি। জয়রাগি গ্রামের মানুষদের হাতে প্রবল গণপিটুনি খান ও চার জন। মারের চোটে প্রাণ হারান এক জন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম প্রকাশ লাকড়া।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা শুধু গো-হত্যা সন্দেহ নয়, দলিতদের উপর অকারণ আক্রমণও। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ষাঁড়টি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গিয়েছিল। তার পরে তার মাংস কাটা হচ্ছিল। অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যে খোঁজ চলছে।
বিজেপির চোখে গোরু ভগবানেরই প্রতিমূর্তি। তাই মোদীর জমানায় কোনও ভাবেই গোরুকে আঘাত করা চলবে না, তাকে আঘাত করলে সেই ব্যক্তি অপরাধীর সমান। সবসময় নিজের প্রাণের বিনিময়ে হলেও রক্ষা করতে হবে গোরুকে। কিন্তু এই অবান্তর দাবির ফলে এর আগেও অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। ভোটের আবহে সেই তালিকায় যুক্ত হল নতুন নাম।