উনিশটি বার’ হয়নি। নামটা গঙ্গারাম নয়, ১৯ বার নয়, ‘ঘায়েল’ হয়েছেন অন্তত ১৬ বার। কিন্তু তাতেও থামেননি। এ পর্যন্ত মোট ১৬ বার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এ বার লোকসভা ভোটে ফের প্রার্থী ফক্কর রামায়ণী। মথুরা লোকসভা কেন্দ্রে। নির্দলের হয়ে। লক্ষ্য একটাই, সাংসদ হয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির গড়বেন। যদিও যমুনাকে দূষণমুক্ত করে নির্মল নদী উপহার দেওয়াই এবারও ফক্কড় বাবার অন্যতম প্রতিশ্রুতি। তার সঙ্গে রাম মন্দির। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ফক্কড় বাবা বলেছেন, “জিতলে অন্য সাংসদদের বুঝিয়ে রাজি করাব, কেন ইতিহাস পুনঃস্থাপনে রাম মন্দির নির্মাণের প্রয়োজন। আমি মনে করি ভোটাররা এক দিন ঠিকই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেবেন”। লড়াইয়ে এ বার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হেভিওয়েট তারকা প্রার্থী হেমা মালিনী। ফলে তাঁর পক্ষে মথুরায় জয় পাওয়া যে কার্যত অসম্ভব, সেটা জানেন ফক্কড় বাবা। তবু শুধু মনের কোণায় জমে থাকা বিশ্বাসে ভর করেই ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েন বারবার। হেরেছেন ১৬ বার। এবার কি হয় সেটাই দেখার।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় আট বার। আর লোকসভা ২০১৯ অর্থাৎ এ বার ধরলে ন’বার। জরুরি অবস্থার পর যে লোকসভা ভোট হয়েছিল, তখন থেকে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছেদ পড়েনি। বিধানসভা-লোকসভা মিলিয়ে মোট ১৭ বার প্রার্থী হয়েছেন। ভোট এলেই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন ফক্কড় রামায়ণী। ফক্কড় বাবা ভোটে লড়তে ৭৩ বসন্ত পার করে ফেলেছেন। পেশায় সাধু বা সন্ত। মথুরার গলতেশ্বর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। পুজোপাঠ আর অন্যের দরজায় ভিক্ষে করেই ‘কষ্টেসৃষ্টে দিন চলে যায়’। এখন অবশ্য দোরে দোরে গিয়ে ভোট ভিক্ষা করে ফিরছেন। তার আগে জয়ের প্রার্থনা করে পুজো দিয়েছেন যমুনায়।