রেলের যাত্রী পরিষেবার মান উন্নয়নে এবার কর্পোরেট সংস্থার দ্বারস্থ হচ্ছে রেল। এজন্য ইতিমধ্যেই একাধিক সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে রেল দপ্তর। আর এতেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকের প্রশ্ন, রেলের ভাঁড়ার কি তবে শূন্য? সেই জন্যই কি যাত্রী পরিষেবার মানোয়ন্নন এবং নতুন পরিকাঠামো গঠনের জন্য কর্পোরেট সংস্থার দ্বারস্থ হতে হচ্ছে রেলকে? এর ফলে কেন্দ্র রেলের বেসরকারিকরণের পথ আরও প্রশস্ত করে তুলল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।
যদিও যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ‘বিতর্কের কোনও জায়গাই নেই। বরং এই নয়া উদ্যোগে যাবতীয় কাজ আরও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে’।
প্রসঙ্গত, লালকেল্লা, যন্তরমন্তরের মতো কয়েকটি ঐতিহাসিক সৌধের রক্ষণাবেক্ষণের ভার কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থার হাতে কেন্দ্রীয় সরকার তুলে দিতে চাইছে বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার রেলের এই সিদ্ধান্তে সেই বিতর্কে নতুন করে ঘি পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এই মুহূর্তে যাত্রী পরিষেবার মোট পাঁচটি ক্ষেত্রকে কর্পোরেট লগ্নীর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি হল শৌচালয়, রেল ওয়াইফাই, ডাস্টবিন, স্টিল বেঞ্চ এবং প্লাস্টিক বোতল ক্রাশিং মেশিন। এগুলি নতুনভাবে ইনস্টল এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্পোরেট সংস্থাগুলি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে।
কর্পোরেট সংস্থার লগ্নী যে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ক্ষেত্রেও নেওয়া হবে এদিন তার ইঙ্গিত দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপাতত এই কয়েকটি ক্ষেত্রকে আমরা চিহ্নিত করেছি। কিন্তু আগামীদিনে এই তালিকা আরও আপডেট করা হবে’। ‘কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি’ তহবিলের মাধ্যমে এই ৫টি ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলি অর্থ জোগাবে। এই লক্ষ্যে ‘রেল সহযোগ’ নামে একটি ওয়েব পোর্টালেরও উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।