ডেডলাইন-মিটিং-প্রেজেন্টেশন-টার্গেট- প্রত্যকে দিন অফিসে পৌঁছে এই শব্দগুলোই তাড়া করে বেড়ায়।পাল্লা দিয়ে বাড়ে পেশাদারি কাজের চাপ।এটাই স্বাভাবিক এবং আমরা তা মেনেও নিয়েছি।তবে পরিশ্রমের পাশাপাশি বিশ্রামও জরুরি। তাই একটা চুড়ান্ত কর্মব্যস্ত দিনের পর আপনি যখন বাড়ি ফিরবেন, তখন নিজেকে ফের চনমনে করে তোলার কিছু টিপস শেয়ার করলাম।
সারা দিন আপনার স্মার্টফোন আপনার সঙ্গী ছিলো। এখন তো পেশাদারি প্রয়োজন মেটাতেও স্মার্টফোন জরুরি। তবে বাড়ি ফিরে আপনার স্মার্টফোনটাকে একটু বিশ্রাম দিন। সুইচ অফ করে দিন কিছুক্ষণ। সারাক্ষণ ফোনের দিকে চোখ থাকলে মি টাইম কাটাবেন কখন বলুন তো? ঘণ্টা খানেক অন্তত আপনার ফোনের থেকে দূরে থাকলে কোনও প্রলয়কান্ডের আশঙ্কা নেই। তাই মোবাইল ডিটক্স করতে কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। কথাটা শুনে দেখুন। দেখবেন আপনি ভিতর থেকে অনেক শান্ত বোধ করছেন।
সারাদিন একনাগাড়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ করেছেন। অর্থাৎ চোখের উপরে এন্তার চাপ পড়েছে। বাড়ি ফিরে ১০ মিনিট অন্তত চোখটাকে বিশ্রাম দিন। চোখ বুজে খানিক্ষণ বসুন। সবচেয়ে ভালো উপায় মেডিটেশন করা। তাতে চোখ ও মন দুই আরাম পাবে। চোখ বুজে শুয়ে পছন্দের মিউজিক শুনতে পারেন। মিউজিক যে দারুণ স্ট্রেসবাস্টার তা আর নতুন করে বলতে হবেনা নিশ্চয়।
সকাল বেলায় কাজে বেরোনোর তাড়াহুড়োয় শরীরচর্চা করার সময় পাননা। তাহলে অফিস থেকে ফেরার পথে প্রতিদিন কিছুক্ষণ জিমে কাটিয়ে আসুন। এক্সারসাইজ করলে এনার্জি ফিরে পাবেন। ক্লান্তি কেটে যাবে। মনও চনমনে হয়ে উঠবে।
পেশাদারি কাজের পাশাপাশি একটা হবি এক্সপ্লোর করাটা খুব জরুরি। তাতে একটা ফিলগুড ফ্যাক্টর কাজ করে। আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। তাই কাজ থেকে ফিরে আবার না হয় পুরনো গিটারটা নিয়ে ধুলো ঝেড়ে বসলেন। বা আবার নতুন করে স্ট্যাম্প কালেকশন শুরু করলেন।
বাড়িতে পোষ্য আছে? কাজ থেকে ফিরে তার সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ট্রেস উধাও। কারণ আপনার প্রিয় পোষ্য আপনার ন্যাচরাল স্ট্রেসবাস্টারের কাজ করবে।
মাঝে মাঝে কাজ থেকে ফেরার পথে স্পা থেকে ঘুরে আসুন। ক্লান্তি কমাবে এমন কোনও বিউটি ট্রিটমেন্ট নিন। বা বডি ম্যাসাজ নিতে পারেন। এতে যেমন আপনার ত্বক সুন্দর হয়ে উঠবে তেমনি ক্লান্তিবোধও কমবে।
ক্লান্তি কমাবার চমৎকার উপায় হলো স্নান। তাই বাড়ি ফিরে একটা হট শাওয়ার নিতে পারেন। স্নানের সময় পছন্দের কোনও এশেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। সুগন্ধী মোমবাতি ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকটা তরতাজা বোধ করবেন।
পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটান। নিছক সাংসারিক বা কেজো কথা নয়। কোনও একটা টপিক নিয়ে রীতিমত আড্ডা দিন। আবার সবাই মিলে কোনও মজার গেম বা অ্যাক্টিভিটিতে মেতে উঠতে পারেন। সবাই মিলে সিনেমা দেখতে পারেন।সবাই মিলে কোনও কোনও দিন ডিনার রান্না করতে পারেন।
ও হ্যাঁ আরও একটা কথা মাঝে মাঝে প্রতিদিনের রুটিন থেকে ব্রেক নিন। প্রতিদিন হয়তো কাজ থেকে ফিরে লেট নাইট সিনেমা বা লং ড্রাইভে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে সম্ভব। একঘেয়েমি কাটবে। তাতে মনও পাবে একটা ব্র্যান্ড নিউ চনমনে ভাব।
এর বাইরেও আরও অনেক অ্যাক্টিভিটি আছে, যা আপনাকে সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষে দূর করে দেবে। আমরা তো সুত্রটুকু দিলাম। কিন্তু আপনার স্ট্রেস বাস্টারের চাবিকাঠি আপনাকেই খুঁজে নিতে হবে। ভাবুন তো। কীভাবে কোয়ালিটি সময় কাটালে আপনার ক্লান্তি দূর করবে। যাতে পরের দিন সকালে আপনি আবার একটা কর্মব্যস্ত দিনের মোকাবিলায় তৈরি থাকবেন।