আধুনিকতার দিকে পা বাড়ালেও আমরা যে কতটা মানসিকতার দিক থেকে পিছিয়ে আছি তা বোঝা যায় সমাজে ঘটা এহেন ধর্ষণের মতো কান্ড ঘটলে। মুখে সহানুভুতি থাকলেও নির্যাতিতাকে ভালো চোখে দেখে না সমাজ। সেই অবস্থা থেকে নির্যাতিতার সম্মান বজায় রাখতে তাঁর ছবি কিংবা পরিচয় গোপন রাখার নির্দেশিকা আগেই জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তার ঠিক বিপরীত কাজ করলেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল এবং এক মন্ত্রী। নিহত তরুণীর নাম-পরিচয় এবং তাঁর পরিজনদের ছবি টুইট করে অস্বস্তি বাড়ালেন তাঁরা।
গত বুধবার হায়দরাবাদের অদূরে সামশাবাদ টোলপ্লাজার কাছে স্কুটি রেখে একটি কাজে গিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। তা দেখে রেখে চার লরিচালক এবং খালাসি। তারাই চক্রান্ত করে ওই তরুণীর স্কুটি চাকা পাংচার করে রাখে। স্কুটির চাকা সারিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় দু’জন। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ওই তরুণী চিকিৎসক। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে তারা। এরপর গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয় তাঁকে। পরেরদিন ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয় নির্যাতিতার দগ্ধ দেহ। গলায় গণেশের লকেট দেখে তরুণীর দেহ শনাক্ত করেন পরিজনেরা।
ঘটনার পরই নির্যাতিতার বাড়িতে যান তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরাজন। পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। হায়দরাবাদের গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম এবং তাঁর পরিজনদের ছবি টুইট করেন রাজ্যপাল। তাঁকে অনুসরণ করে ঠিক একই কাজ করে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। আর তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার হওয়া কোনও তরুণীর ছবি কিংবা পরিচয় উল্লেখ করা যায় না।
তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হায়দরাবাদের নির্যাতিতার পরিচয় এবং পরিজনদের ছবি টুইট করলেন, তা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। কিভাবে এই রকম