ইম্ফলের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামেই আজ দুপুর দুটোয় মোহনবাগান আই লিগে তাঁদের অভিযান শুরু করছে। প্রতিপক্ষ আইজল এফসি। খা যায় নানা রঙের সমাহার। আইজল এফসি এবার আই লিগে খুব একটা শক্তিশালী দল নয়। ফেডারেশন সব দলকে দিয়েছে ছয় জন বিদেশি নথিভুক্ত করার সুযোগ। কিন্তু অর্থাভাবের কারণে আইজলে আছেন মাত্র দুই বিদেশি। আক্রমণাত্মক মিডিও হিসাবে আছেন উগান্ডার রিচার্ড, আর রক্ষণে আইজলের ‘ঘরের ছেলে’ আলফ্রেড। তৃতীয় স্টপার হিসাবে আইজল এফসি কিংসলেকে নিলেও ফিফার নিয়মে জানুয়ারির আগে তিনি খেলতে পারবেন না। মোহন বাগান সমর্থকদের কাছে এটা নিঃসন্দেহে স্বস্তির বিষয় যে, প্রথম ম্যাচে কিছুটা শক্তিহীন আইজলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে তাঁদের প্রিয় দল।
শক্তির বিচারে খাতায় কলমে এগিয়ে মোহনবাগান। তবুও চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে কিবুর। স্পেনীয় কোচ গত পাঁচ মাস দলকে কোচিং করিয়ে সাফল্য দিতে পারেননি। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ এবং বাংলাদেশের শেখ কামাল কাপে ব্যর্থ হয়েছেন বেইতিয়ারা। আই লিগ তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা। প্রথম ম্যাচ জিততে মরিয়া তিনি। শুক্রবার কিবু বলেছেন, ‘‘মোহনবাগান যেখানে খেলে সেখানে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরা কুড়িটা ম্যাচ খেলেছি এ পর্যন্ত। এখানে আসার আগে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। দলের খেলায় আমি সন্তুষ্ট। তা সত্ত্বেও এই ম্যাচ কঠিন।’
আইজলের হৃদপিন্ড দলের অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা অনূর্ধ্ব ২০ বছর বয়সী এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার। ডেভিড, আইজ্যাক, লালরেমসাংগা, রোচাজেলা, লালনুনফেলা, আয়ূশ দেব ছেত্রীরা ইতিমধ্যেই তাঁদের শক্তি দেখিয়েছেন মিজোরাম লিগে। পাহাড়ের সব চেয়ে কঠিন ও আকর্ষণীয় লিগে তারা শীর্ষে।
মোহনবাগানের প্রধান শক্তি বেইতিয়ার সেট পিস দক্ষতা। জুলেন কলিনাস, সালভা চামোরোদের গোলের সামনে ক্ষিপ্রতা। ব্রিটো পিএম বা লালরাম চুলোভার উইং দিয়ে আক্রমণ। উল্টোদিকে আইজলের শক্তি তরুণ ফুটবলারদের অফুরন্ত দম। প্রতিপক্ষকে নব্বই মিনিট এক ইঞ্চি জমি না ছাড়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। তাই দুই দলের কেউই যে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়বে না তা বলাই বাহুল্য।