নোট বাতিলের জেরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি উলটে বেড়েছে হিসাব বহির্ভূত টাকার পরিমাণ। নোট বাতিলের জেরে যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল আবাসন শিল্পে তার জেরে ভুগছেন শ্রমিকেরা। নোট বাতিলের জেরে যে বেড়েছে বেকারত্বের হার তা এবার স্বীকার করতে বাধ্য হল কেন্দ্র। আরও উল্লেখযোগ্য হল, সরকার আজ বেকারত্বের হার নিয়ে সংসদে যে সাম্প্রতিক সমীক্ষার কথা জানিয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার কমেছে।
নোট বাতিলের পরে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে কি না, রাজ্যসভায় সেই পরিসংখ্যান চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া। গত তিন বছরের বেকারত্বের পরিসংখ্যানের পাশাপাশি কোন রাজ্য ওই নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে, সেই তথ্যও কেন্দ্রের কাছে চেয়েছিলেন তিনি। জবাবে ২০১৩-১৪, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৭-১৮ সালের পরিসংখ্যান দেন শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। শ্রমমন্ত্রীর উত্তরে স্পষ্ট যে বেড়েছে বেকারত্বের হার।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৫-২০১৬ লেবার ব্যুরোর সমীক্ষায় বেকারত্বের হার ছিল যথাক্রমে ৩.৪ এবং ৩.৭ শতাংশ। একইভাবে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) ২০১৭-১৮ সালে বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের (পিএলএফএস) রেজাল্ট বলছে, গোটা দেশে বেকারত্বের হার ৬ শতাংশ। অর্থাৎ নোট বাতিলের পর বেকারত্ব অনেকটাই বেড়েছে।
আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে আলোচনায় তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, নোট বাতিলের জেরে ক্ষুদ্র ব্যবসা মার খেয়েছে। সরকারই মানছে বেকারত্বের হার বেড়েছে। তাঁর তির্যক মন্তব্য, নোট বাতিলের ঘটনার পর দেশের পশ্চিমাংশের এক উদ্যোগপতির সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ হাজার গুণ বেড়েছে। ফলে নোটবন্দির জেরে অর্থনীতিতে কি পরিমাণ কুপ্রভাব পড়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।