মহারাষ্ট্রের মহা নাটকের যবনিকা পতন হয়েছে। জোট শক্তির কাছে হেরে গেছে বিজেপি। তারপরই শুরু হয়েছে নিজেদের মধ্যে দোষারোপের পালা। পাশাপাশি চলছে ‘সাফাই’ অভিযান। দেবেন্দ্র ফডনবিশ গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময়ই তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন ছিল নিছক সাফাই। এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এবার এই সাফাই অভিযানে নামলেন ভারতীয় রাজনীতির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। সরকার ফেলার ‘খেলা’য় সিদ্ধহস্ত অমিত শাহ কেন ব্যর্থ হলেন মহারাষ্ট্রে? কেনই বা অজিত পাওয়ারকে ভরসা করার মতো মহা ভুল করে বসলেন? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।
একাধিক দুর্নীতি মামলা নামের পাশে নিয়ে বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন অজিত। ‘পুরস্কারস্বরূপ’ অব্যাহতি পেয়েছেন মামলাগুলি থেকে। তারপরই ইউটার্ন মেরে ফিরেছেন দলে। বিজেপির হাতে দিয়ে এসেছেন একরাশ আফসোস আর মাথা চাপড়ানো। এই প্রসঙ্গে সওয়াল করা হলে অমিত শাহ বলেন, ‘আসলে অজিত পাওয়ারই তো এনসিপি বিধায়ক দলের নেতা ছিলেন। সরকার গঠনের অধিকারও ওঁর হাতে ছিল। রাজ্যপালও সরকার গঠন নিয়ে ওঁর সঙ্গেই কথা বলেছিলেন। প্রথমবার এনসিপি যখন বলেছিল ওরা সরকার গঠন করতে পারবে না তখন সেই চিঠিতেও অজিত পাওয়ারেরই সই ছিল। তাই আমরা যখন অজিত পাওয়ারের স্বাক্ষরিত চিঠি পেলাম তখন সরকার গঠনের জন্য সেটা যথেষ্ট বলে মনে হয়েছিল।’
মহারাষ্ট্রে তাদের সরকার এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার জন্য শিবসেনাকেই দায়ী করেছেন তিনি। নিজের পুরনো তত্ত্বেই অনড় থেকে বলেছেন, নির্বাচনের আগে অর্ধেক মুখ্যমন্ত্রী পাইয়ে দেওয়ার কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি। মুখে স্বীকার না করলেও, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা না বলেই কেবল অজিত পাওয়ারের সইয়ে বিশ্বাস করে যে মস্ত বড় ভুল ছিল, সেটা কার্যত মেনে নিতে হয়েছে অমিত শাহকে। শরদ পাওয়ারের মাস্টারস্ট্রোকের কাছে হার মানতে হয়েছে ‘চাণক্য’র। আর তাতেই নেট দুনিয়ায় শুরু কটাক্ষ, ব্যঙ্গাত্মকের ঝড়।