অবশেষে মঙ্গলবার যবনিকা পতন ঘটেছে মহারাষ্ট্রে বেশ কিছু দিন ধরে চলতে থাকা ‘মহা’-নাটকের। যার পর গতকাল সন্ধ্যায় পূর্বসিদ্ধান্ত মত শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেই দলনেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের ‘মহা’-জোট ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি’। পাশাপাশি সর্বসম্মত ভাবে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও উদ্ধবের নাম ঘোষণা করেছে তাঁরা। এবারে শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’য় প্রকাশিত হল এক বিস্ফোরক মন্তব্য।
সামনায় বলা হয়েছে, দেশের স্বাধীনতার জন্যে নিজের প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন শহিদ ভগৎ সিং। আরেক ভগৎ রাতের অন্ধকারে ফাঁসি দিলেন গণতন্ত্রকে। একথা বলাই বাহুল্য যে দ্বিতীয় ভগৎ বলতে এখানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকেই বুঝিয়েছে শিবসেনা।
মঙ্গলবারের সম্পাদকীয়তে আক্রমণ করা হয়েছে রাজ্যপাল কোশিয়ারি এবং অজিত পাওয়ারকে। বলা হয়েছে, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার দুবার কংগ্রেস ছেড়েছেন, তারপর আলাদা দল গড়েছেন এবং এভাবেই রাজনীতিতে টিকে রয়েছেন ৫০ বছরের বেশি সময়। অজিত পাওয়ারের উচিত ছিল এমনই কিছু করা। অথচ তা না করে অজিত নথি চুরি করলেন এবং এনসিপি বিধায়কদের সমর্থন তাঁর দিকেই বলে মিথ্যে দাবি করলেন। যে মুহূর্তে ইডি তদন্তের নামে ব্ল্যাকমেল শুরু করল বিজেপি, তখনই তিনি কাকার রাজনৈতিক সম্পদকে নষ্ট করার খেলায় নামলেন। এমনকী পুরনো চিঠি দেখিয়ে দাবি করলেন এনসিপি বিধায়কদের সমর্থন তাঁরই দিকে। এর আগে অজিত নিজে কয়েকবার দাবি করেছেন তিনি মিথ্যে বলেন না। সেই অজিতই এখন প্রতিদিন মিথ্যে বলছেন এবং ভুয়ো চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যপালকে।
এরপরেই বিজেপিকে কটাক্ষ সামনার, সংখ্যাগিরষ্ঠতা থাকলে কেউ সরকার গড়তেই পারেন। তবে প্রতিষ্ঠিত নীতি ও সংবিধানকে পায়ে মাড়িয়ে তা করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ওপরেই আস্থা হারাবেন মানু্ষ।