ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে আগে থেকেই পরিচিত মুখ ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। এবারের বিশ্বকাপে দিদিয়ের দেশমের দলের হয়েও প্রমাণ করেছেন নিজের প্রতিভা। খুব দ্রুত বিশ্ব ফুটবলে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী ফরাসি ফরওয়ার্ড। বছর দেড়েক আগে মোনাকোর মূল দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে উত্থানের শুরু প্রথম মরসুমেই দলকে এনে দেন লিগ ওয়ান শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছিল মোনাকো। তাতেও বড় অবদান ওই মরসুমেসব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচে ২৬ গোল করা এমবাপের। রাশিয়া বিশ্বকাপে ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলের খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার কাকা। তার মতে বিশ্বকাপের কারণে এমবাপের মতো তরুণ ফুটবলারের খেলা দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব।
গ্রুপ পবের্র খেলায় খুব বেশি আলোচনায় ছিলেন না এমবাপে। আজেির্ন্টনার বিপক্ষে নকআউট পবের্র ম্যাচে এমবাপে গতিময় ফুটবল দিয়ে মুগ্ধ করেন ফুটবলবোদ্ধা ও দশর্কদের। আজেির্ন্টনার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে এমন জোরে ছুটতে শুরু করেন যে আজেির্ন্টনার মাকার্স রোহোর সামনে তাকে ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ডি-বক্সের মধ্যে রোহে তাকে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির বঁাশি বাজান। গ্রিজমান গোল করে শুরুতেই এগিয়ে নেয় দলকে। দ্বিতীয়াধের্ তার অপ্রতিরোধ্য গতির কাছে আজেির্ন্টনার রক্ষণভাগ পযুর্দস্ত হয়।
বল পায়ে এমবাপে ৪৫ কিলোমিটার গতিতে দৌড়াতে পারেন। ফ্রান্সের এই তরুণ ফরোয়াডের্র প্রশাংসা করে কাকা বলেন, ‘আমার মতে এমবাপেকে বণর্না করার সেরা উপায় হচ্ছে তার গতি। সে কত দ্রুত দৌড়াতে পারে তা তো আমরা সবাই-ই দেখেছি। তবে অবশ্যই শুধু দৌড়ানোই তার একমাত্র বিশেষত্ব নয়। বল নিয়ে তার যে নিয়ন্ত্রণ সেটিও খুব বেশি ভালো ছিল। নিজে গোল করা এবং সতীথের্ক দিয়ে গোল করাতেও দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সে।’
বয়স মাত্র ১৯ বছর হলেও এমবাপের খেলার ধরন ৩৫ বছর বয়সী একজন দক্ষ ফরোয়াডের্র মতোই। কাকার অন্তত তেমনই মত, ‘সে মাত্র ১৯ বছর বয়স্ত। কিন্তু মাঝেমাঝে আমার মনে হয় সে ৩৫ বছরের। আমি মনে করি তার সামনে খুবই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। আমাদের নিতান্তই সৌভাগ্য যে তার মতো ১৯ বছরের একজনকে বিশ্বকাপের মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াতে দেখতে পারছি।’
১৯৯৮ সালে ফ্রান্স যখন বিশ্বকাপ জিতেছে তখন জন্মও হয়নি এমবাপের। এবার তিনিই মাতিয়েছেন রাশিয়া বিশ্বকাপ। ছুয়েছেন ফুটবলের সম্রাট পেলের রেকডর্। তার মাঝে অনেকেই পেলের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। নিজের এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে শুধু ফ্রান্স নয়, বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসেই জায়গা করে নেবেন এমবাপে।