শীতের আমেজে মানুষের খাদ্য তালিকায় পছন্দের মধ্যে আসে সব্জি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সেই নিয়ে মাথায় হাত দেশবাসীর। কেজি প্রতি ১০০ ছাড়িয়েছে পেঁয়াজ। আলু, বেগুন, পটল সহ অন্য সবজিরও চড়া দাম বাজারে। এহেন পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে টাস্ক ফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতার সরকার। সেই জেরেই এদিন বিধাননগরের সিএ মার্কেটে হানা টাস্ক ফোর্সের কর্মীদের।
মঙ্গলবার সকালে সেখানে গিয়ে তারা স্পষ্ট বুঝতে পারলেন আলু থেকে শুরু করে সব রকমের সব্জির দামই আকাশছোঁয়া। আর সেই কারণে টাস্ক ফোর্সের প্রধান রবীন্দ্রনাথ কোলে সরাসরি দায়ী করলেন ফড়ে এবং ব্যবসায়ীদের। এদিন সকালে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে টাস্ক ফোর্স হানা দেয় সিএ মার্কেট-সহ সিকে মার্কেটে। সেখানেই দেখা যায় আলুর দাম ৩০টাকারও বেশি। পটল প্রায় ৯০ টাকা। ভেণ্ডি ৯০ টাকা কেজি। বাকি সব্জির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেয় টাস্ক ফোর্স।
বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে দাম কমানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু বাজার করতে আসা ক্রেতাদের দাবি ছিল, যতক্ষণ টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা বাজারে ঘুরছেন ততক্ষণই দাম নিয়ন্ত্রণে। তারা বেরিয়ে গেলেই দাম আবার যে কে সেই। অর্থাৎ অগ্নিমূল্য বাজারের দশা যেন ফেরার কোনও রাস্তাই তারা দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেই কারণে এই বিষয়টি টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কাছেও তারা জানান।
এদিন ওই সিএ মার্কেটের বাজারেই দেখা যায় এক ফড়েকে। তার সঙ্গেও কথা বলেন টাস্ক সদস্যরা। কারণ এদিন ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল, এই ধরনের ফড়েদের কারণেই সব্জি হিমঘরে চলে যাচ্ছে। আর পরে বাজারে যখন সেই সব্জির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন এই ফড়েরাই তা হিমঘর থেকে বার করে চড়া দামে বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এদিন বিক্রেতারাও টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের কাছে পেয়ে নিজেদের অভিযোগের ঝুলি মেলে ধরেন। তাদের দাবি ছিল, ফড়েদের কারণেই বাজারে সব্জির দাম অগ্নিমূল্য। ফলে বিক্রেতারা চাইলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।