হিসেব মতো বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে মাত্র নয় মাস থাকার কথা সৌরভ গাঙ্গুলির। কিন্তু তা চায় না খোদ বর্তমান বোর্ড কর্তারা। সেই কারণেই প্রেসিডেন্ট পদে মহারাজের মেয়াদ বাড়াতে উদ্যোগী হল বোর্ড। আগামী ১ ডিসেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় তাই কুলিং অফ পিরিয়ড নিয়ম অবলুপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শাসক গোষ্ঠী।
সোমবার বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল বলেছেন, তাঁরা প্রশাসকদের ‘অভিজ্ঞতা’কে কাজে লাগাতে এই নিয়মের পরিবর্তন চান। সৌরভ বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে প্রথম বার বার্ষিক সাধারণ সভার যে বিষয়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে গঠনতন্ত্রে কয়েকটি পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। গঠনতন্ত্রে এই সংস্কারগুলি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত লোঢা কমিটির সুপারিশ করেছিল।
বোর্ডের নতুন সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনও পদাধিকারী টানা ছ’বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। এই নিয়মের জেরে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিব জয় শাহকে আগামী জুলাইয়ে পদ ছাড়তে হবে। কারণ, তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় বিভিন্ন পদে পাঁচ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু বোর্ডের নতুন কমিটির দাবি, ছ’বছরের মেয়াদ পূর্ণের পর কুলিং অফের নিয়ম লাঘু থাকুক। কিন্তু সেটা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও বোর্ড-দু’টি মিলিয়ে দেখা না হোক। আলাদা আলাদা করে দেখলে একজন কর্তার পক্ষে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ থাকবে। পরে বোর্ডের আরও ছ’বছর কাজ করতে পারবে আরও দক্ষতার সঙ্গে।
বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘৭০ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে আর প্রশাসক পদে থাকা যাবে না এই নিয়মে আমরা কোনও পরিবর্তন চাইছি না। এটা যে রকম আছে থাকুক। তবে কুলিং অফ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, কেউ যদি রাজ্য সংস্থায় প্রশাসক পদে থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তা হলে কেন তাঁকে কুলিং অফে যেতে হবে? তাঁর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। তিনি যদি ভারতীয় বোর্ডে অবদান রাখতে পারেন, রাখুন না।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘যদি কেউ রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর প্রশাসক পদে থাকার পরে ৬৭ বছর বয়েসে পৌঁছন তা হলে তিন বছরের কুলিং অফ শেষ হতে হতেই তাঁর ৭০ বছর বয়েস হয়ে যাবে। তিনি আর বোর্ডে কোনও অবদান রাখতে পারবেন না।’’