মাঠে নেমে বারেবারে নিজের জাত চিনিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সদ্য সমাপ্ত ইডেন টেস্টেও সফল তিনি। নিউজিল্যান্ড সফরের আগে আপাতত আর কোনও টেস্ট ম্যাচ নেই ভারতের। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হলেও সেই দলে ঋদ্ধিমান সাহা নেই কারণ, তিনি শুধুমাত্র টেস্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলতে কোনও সমস্যা হবে না ভারতীয় উইকেটকিপারের। তাই ঋদ্ধিকে ধরেই রঞ্জি ট্রফির পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা শিবিরে।
ঋদ্ধি খেললেও বাংলা পাচ্ছে না শামিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন শামি। রঞ্জি ট্রফি চলাকালীন তাঁকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। তাই ঋদ্ধির পাশাপাশি দলকে জেতানোর মূল দায়িত্ব নিতে হবে মনোজ তিওয়ারি ও অভিমন্যু ঈশ্বরনকে।
কোচ অরুণলালের কথায়, ‘‘মনোজ নিজেও জানে ওর পারফরম্যান্সের উপরেই নির্ভর করছে বাংলার ভবিষ্যৎ। মনোজ রান করতে শুরু করলে দলের মনোবল এমনিতেই বেড়ে যাবে।’’ যোগ করেন, ‘‘অভিমন্যু প্রত্যেক বছরই রান করে। এ বারও সেই ছন্দে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের গ্রুপে কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, হায়দ্রাবাদ, বিদর্ভ, দিল্লীর মতো শক্তিশালী দল আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে হলে রান পেতেই হবে সিনিয়র ক্রিকেটারদের।’’
ঋদ্ধির খেলার খবরে প্রাণ পেয়েছে বাংলার দল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি ও বিজয় হজারেতে ব্যর্থতার পরে রঞ্জি ট্রফিই একমাত্র ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গা অভিমন্যু ঈশ্বরনের দলের। সেই সুযোগ নষ্ট করতে চান না কোচ অরুণ লাল। বাংলার প্রথম ম্যাচ ১৭ ডিসেম্বর তিরুঅনন্তপুরমে। প্রতিপক্ষ কেরালা। বাংলা শিবিরের খবর, প্রথম ম্যাচ থেকেই ভারতীয় উইকেটকিপারকে পাচ্ছে তারা।
অরুণ বলেছেন, ‘‘ভারতীয় টেস্ট মরসুমের প্রত্যেকটি ম্যাচ দেখেছি। উইকেটের পিছনে ঋদ্ধির দাপট দেখে প্রচণ্ড আনন্দ হচ্ছিল। এটাই তো বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে দেখতে চাই। আমরা বিজয় হজারে ও মুস্তাক আলি ট্রফিতে দাঁড়াতেই পারিনি। অথচ এই বাংলার দু’জন ক্রিকেটার ভারতীয় টেস্ট দলে এখন অপরিহার্য। ঋদ্ধি ও শামির থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বাংলার ক্রিকেটারদের।’’ ২৯ নভেম্বর থেকে রঞ্জি ট্রফির প্রস্তুতি শুরু করবে বাংলা