তিনি কি শিবির বদলানোর পুরষ্কার পেলেন? সূত্রের খবর, সেচ প্রকল্পের দুর্নীতিতে অজিত পাওয়ারকে ক্লিন চিট দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ২ দিনের মধ্যেই সেচ দফতরের ৯ টি দুর্নীতির এফআইআর বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। মহারাষ্ট্র দুর্নীতি দমন শাখার দাবি, এই মামলাগুলির সঙ্গে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এমন সময় এই সিদ্ধান্ত নিলেন ফডনবিশ, যাতে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
শিবসেনা-এনসিপি কংগ্রেস যখন জোট বেঁধে সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছ, ঠিক সেই সময় শনিবার সাতসকালে কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং অজিত পাওয়ার। ফডনবিশ মুখ্যমন্ত্রী এবং অজিত উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন রাজভবনে। রাতারাতি শিবির পাল্টে ফেলার সময়ই গুঞ্জন ছিল, সেচ প্রকল্পের দুর্নীতিতে জেলযাত্রা থেকে বাঁচতেই ফডনবিশের কাছে কার্যত আত্মসমর্পণ করেছেন অজিত। সেই জল্পনার কারণও ছিল। মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে দেবেন্দ্র ফডনবিশ এই অজিত পাওয়ারকেই দুর্নীতির ইস্যুতে টার্গেট করেছিলেন। বলেছিলেন, অজিত পাওয়ারকে জেলে যেতেই হবে।
এ দিন মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই সেই জল্পনা চরম আকার নেয়। মহারাষ্ট্র সরকার সূত্রে খবর, ৭০ হাজার কোটির সেচ দুর্নীতিতে মোট ২০টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। অধিকাংশ এফআইআর-ই ছিল অজিত পাওয়ারের নামে। তার মধ্যে এ দিন ৯টি এফআইআরের তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে ফডনবিশ সরকার। তার পরেই রাজনৈতিক শিবিরে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, তবে কি শিবির পাল্টানোর ‘পুরষ্কার’ পেলেন অজিত?