বিকেলের দিকেই শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত টুইট করে জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড হায়াতে আজ সন্ধ্যে ৭টায় ১৬২ জন বিধায়ককে হাজির করাবেন সেনা-কং-এনসিপি জোট। এমনকি টুইটে রাজ্যপালকেও বলেছিলেন, আসুন নিজের চোখে দেখুন৷ এবার নিজেদের কথামতই, সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলের বলরুমে শক্তি প্রদর্শন করে দিলেন শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরেরা। ২৮৮ টি আসনের বিধানসভার ১৬২ জন বিধায়কই উপস্থিত থাকলেন সেখানে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কবে আস্থাভোট হবে তা এখনও অনিশ্চিত। সবটাই নির্ভর করছে কাল এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয় তার উপর। সরকারের গঠনের এই অঙ্কটা সরল পাটিগণিত। যে শিবিরের পক্ষে ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন থাকবে তাঁরাই সরকারে থাকবেন। সুতরাং হায়াতের বলরুমের ছবিটা জানান দিল, মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ-অজিত পাওয়ার সরকার আদতে সংখ্যালঘু। শরদ পাওয়ার-উদ্ধব ঠাকরেরা এই ১৬২ জনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারলে বিধানসভায় আস্থাভোটে অনিবার্য ভাবেই পতন হবে বিজেপি সরকারের।
সন্দেহ নেই, সোমবার সন্ধ্যের পর থেকে বদলের আবহাওয়া মুম্বই জুড়ে। রাতারাতি পাশা বদলে দেওয়ার পরিবেশে যেমন হয়। উন্মাদনায় টগবগ করে ফুটছেন শিবসেনা। ঠিক ততটাই উত্তেজিত এনসিপি শিবির। শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট নিজেদের বলছে ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি’। শিবসেনার বক্তব্য, তাঁরা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ৬৩ জন বিধায়কের তালিকা দিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন নির্দলও রয়েছেন। তাঁরা শিবসেনাকে সমর্থন করছেন। এছাড়া শিবসেনার জোটে আছেন কংগ্রেসের ৪৪ জন ও এনসিপির ৫১ জন বিধায়ক। সমাজবাদী পার্টির দুই বিধায়কও জোটকে সমর্থন করছেন। সবমিলিয়ে একেবারে রহস্য রোমাঞ্চ সিনেমার টানটান চিত্রনাট্যের মতো জমে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মেগা শো। যার ক্লাইম্যাক্সের দিকেই এখন নজর সকলের।