আর কিছুদিন পরেই রাজধানীতে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে দিল্লী বিজেপির মুখ কে হবেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়ে গিয়েছে চরম কোন্দল শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। দিল্লী বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশায় ছিলেন। দিল্লী নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হওয়ার ব্যাপারে গোড়া থেকেই আশায় ছিলেন হর্ষবর্ধন। তাঁকে টেক্কা দেওয়ার জন্য অরবিন্দ কেজরীবালকে দুষে যখন-তখন রাস্তায় নেমে পড়ছিলেন বিজয় গোয়েলও। আশায় ছিলেন গৌতম গম্ভীরও। কিন্তু দূষণের বাজারে ইন্দোরে লক্ষ্মনের সাথে জিলিপি খেতে গিয়ে গোল পাকিয়েছেন তিনি।
কিন্তু রবিবার সকালেই একটা বড়সড় গোল পাকাল বিজেপি। হঠাৎ করেই বিজেপির পক্ষ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গেল। তিনি আর কেউ নন! মনোজ তিওয়ারি। তবে এই ঘোষণা কোনও আনুষ্ঠানিক মঞ্চ থেকে করা হয়নি। করলেন মোদী সরকারেরই মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। রবিবার একটি ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে আমরা বিধানসভা নির্বাচন লড়তে চলেছি। আর যতক্ষণ না তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করছি, ততক্ষণ থামব না।’
মনোজ তিওয়ারি এখন দিল্লী বিজেপির সভাপতি। তাঁকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আরএসএসের একটি অংশ তাঁকে হঠাতে চাইছেই বলেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। যেখানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও ঠিকই করেনি যে, আদৌও কাউকে মুখ করে নির্বাচনে লড়াই হবে কিনা।
এর মধ্যে পুরীর মুখে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ‘ঘোষণা’ হতেই সেটি লুফে নিল কেজরীবালের দল। তাঁর দলের নেতা রাঘব চাড্ডা বলেন, ‘‘বিজেপির এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। এ বারে ম্যাচটি হতে চলেছে অরবিন্দ কেজরীবাল বনাম মনোজ তিওয়ারির মধ্যে। মনে রাখবেন, এই মনোজ তিওয়ারিই জোড়-বিজোড়, মহিলাদের বিনা পয়সায় বাস সফরের বিরোধিতা করেছেন। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন।’’
সম্প্রতি হরিয়ানার মতো মহারাষ্ট্রেও সরকার গড়তে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে হরদীপ পুরী একতরফা মনোজ তিওয়ারির নাম ঘোষণা করে বিজেপির মধ্যেই কোন্দল আরও বাড়িয়ে তুলেছেন।