২০১৯ সালের আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং জস বাটলার ঘটিত ‘মানকড় কাণ্ড’ নিয়ে মিম বানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ট্র্যাফিক সিগন্যালে ‘স্টপ লাইনে’ গাড়ি থামানোর গুরুত্ব বোঝাতে কলকাতা পুলিশ সাহায্য নেয় অশ্বিনের ‘মানকড়িং’-এর সেই মুহূর্তের, যা আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেখা যায় জয়পুরে এবং পোস্ট করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই মিম। ছবির সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বার্তা ছিল, ‘ক্রিজে হোক বা রাস্তায়, আগে পেরোলে পস্তায়।’
এবার কলকাতার গোলাপি টেস্টে ভারতের ইশান্ত শর্মার বাউন্সারে বাংলাদেশের মহম্মদ মিঠুনের চোট পাওয়ার ঘটনাকে নিয়ে সচেতনতামূলক মিম বানাল কলকাতা পুলিশ। মিঠুনের হেলমেটে ইশান্তের বাউন্সার আছড়ে পড়ার ছবিতে কলকাতা পুলিশের তরফে লেখা হয়, ‘রাখে হেলমেট, মারে কে!’ – অর্থাৎ হেলমেট থাকা যে কতটা নিরাপদ তা বোঝাতেই এমন ছবি ও ‘কোট’ ব্যবহার করা হয়েছে।
বাস্তবেও আঘাত পেলেও হেলমেট থাকার কারণে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে পেরেছেন মহম্মদ মিঠুন। তবে মহম্মদ মিঠুনের ছবি দিয়ে সচেতনতামূলক মিম তৈরি করলেও বাংলাদেশের সমর্থকদের তা বিশেষ পছন্দ হয়নি। ফেসবুকেই বহু বাংলাদেশি সমর্থক কলকাতা পুলিশের উদ্দেশে আক্রমণ হেনেছেন।
‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচারে বারবার বাইক আরোহীদের উদ্দেশ্যে হেলমেট পরার আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হেলমেট ছাড়াই বাইকে সওয়ার হয়েছেন বহু আরোহী। তাতে দুর্ঘটনায় প্রাণও যাচ্ছে অনেকের। তাই মহম্মদ মিঠুনের এই আঘাত লাগার প্রেক্ষাপটকেই এবার সচেতনতার কাজে ব্যবহার করল কলকাতা পুলিশ।