ঐতিহাসিক পিঙ্ক বল টেস্টের প্রথমদিন দাদা’র শহরে দাদাগিরি ভারতীয় পেসারদের। প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে পিঙ্ক বলে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন ল্যাঙ্কি পেসার ইশান্ত শর্মা। তাঁকে যথাযোগ্য সঙ্গত করলেন দলের বাকি দুই পেসার উমেশ যাদব ও মহম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে যাদবের ঝুলিতে যখন তিন উইকেট এল তখন ঘরের মাঠে প্রথম পিঙ্ক বল টেস্টে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরে নিলেন বঙ্গ পেসার মহম্মদ শামি। আর সবচেয়ে বেশি দাপট দেখালেন ঋদ্ধি।
কামব্যাকের পর প্রায় প্রতি ম্যাচেই দস্তানা হাতে উইকেটের পিছনে উইকেটকিপিংয়ের নয়া নয়া সংজ্ঞা শেখাচ্ছেন ঋদ্ধি। পাঁচদিনের ক্রিকেটে এইমুহূর্তে জাতীয় দলে ঋদ্ধিই সেরা উইকেটরক্ষক, ম্যাচের আগেরদিনও দলের পয়লা নম্বর উইকেটরক্ষককে দরাজ প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন অধিনায়ক। ঐতিহাসিক পিঙ্ক বল টেস্টের প্রথমদিন অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা আরও একবার দিলেন শিলিগুড়ির পাপালি (ঋদ্ধির ডাকনাম)। ইশান্তের আউটস্যুইংগার মাহমুদুল্লাহর ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপের দিকেই যাচ্ছিল। নিজের পজিশন থেকে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে মুহূর্তের মধ্যে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করে নেন ঋদ্ধি। মাত্র ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ।
ইডেন টেস্টের প্রথম দিন শাদমান ইসলামের ক্যাচ ধরার ফলে ঋদ্ধিমানের টেস্ট ক্রিকেটে শিকার সংখ্যা দাঁড়াল ১০০। ভারতীয় উইকেট কিপারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছন বাংলার উইকেট কিপার। ৩৬টি টেস্টে তিনি এই কীর্তি গড়েন। টেস্টে ধোনির শিকার সংখ্যা ২৯৪। ভারতীয় কিপারদের মধ্যে দেশের প্রাক্তন উইকেট কিপারের শিকার সংখ্যা সব চেয়ে বেশি।
কোহালি মাঠের ভিতরে সব সময়েই আগ্রাসী। প্রতিক্রিয়া দেখাতেই পছন্দ করেন তিনি। ঋদ্ধিমানের দুরন্ত ক্যাচ দেখে কোহালি জড়িয়ে ধরেন ‘সুপারম্যান’কে। ওরকম ক্যাচ ধরলে তো ‘বিরাট’ অভিনন্দনই আশা করতে পারেন ঋদ্ধিমান।