দীপাবলি কাটতেই প্রবল বায়ুদূষণে ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে রাজধানী দিল্লী। সেখানে কেজরিওয়াল সরকার দূষণ রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা খুব একটা লাভদায়ক হয়নি। এদিকে বাতাসের গুণগত সূচকও টানা বেশ কয়েকদিনই ‘অতি বিপজ্জনক’ মাত্রায় থেকেছে দিল্লী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। এমতাবস্থায় সংসদের স্থায়ী কমিটির দূষণ বিরোধী বৈঠকে ২৯ জনের মধ্যে গরহাজির ছিলেন ২৫ জন। শুক্রবার বাতিল হওয়া সেই বৈঠক হল আজ, বুধবার। সেদিন গরহাজির থাকলেও, আজ বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর ও হেমা মালিনী।
শুক্রবারের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মথুরার সাংসদের জবাব নিয়েই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। দিল্লীর দূষণ রোধে সমাধান সূত্র খুঁজতে ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত কেন ছিলেন তিনি? প্রশ্নের উত্তরে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ হেমার জবাব, ‘দিল্লীর মতো দূষণ মুম্বই বা অন্যত্র নেই। তাই ওখানকার সাংসদদের তেমন ভূমিকা ছিল না। তবে দিল্লীতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের যোগ দেওয়া উচিত ছিল।’
একইসঙ্গে হেমা মালিনীর মতে, ‘দিল্লীর দূষণ অত্যন্ত খারাপ। আমাকে অনেকেই অনুপস্থিত থাকার কারণ জানিয়েছেন। সবারই একসঙ্গে এই দূষণ প্রতিরোধে কাজ করা উচিত।’ প্রসঙ্গত, সোমবারই লোকসভার অধিবেশনে চলাকালীন দিল্লীর দূষণ বৈঠকে অনুপস্থিত সাংসদদের নাম করে সতর্ক করেন স্পিকার ওম বিড়লা। যার পরে আজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধিকাংশ সাংসদরা।
৮ নভেম্বরের ওই বৈঠকে গরহাজির সাংসদদের মধ্যে ছিলেন গৌতম গম্ভীর, হেমা মালিনী-সহ আরও অনেকে। অনুপস্থিত ছিলেন খোদ দিল্লী ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস প্রেসিডেন্টও। ওই সময়ই ইন্দোরে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে ধারাভাষ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন গম্ভীর। সেখানেই প্রাক্তন সতীর্থ ভি ভি এস লক্ষ্মণের সঙ্গে গম্ভীরের জিলিপি খাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়। এরপর আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকেন সবাই।