গত সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে সেই সময় প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ে দক্ষিণবঙ্গে। তাই বাধ্য হয়ে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছিলেন তিনি। তবে বুলবুলের প্রকোপ কাটতেই সোমবার কোচবিহার দিয়ে তাঁর সফর শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গতকাল গঙ্গারামপুর ও মালদায় দুটি প্রশাসনিক বৈঠক সেরে আজ, বুধবার সাগরদীঘি আসেন তিনি।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/426876698213530/
এদিন সাগরদীঘিতে তাঁর সভার পরই কাশ্মীরে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেকের বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ডিএম এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি জঙ্গীহানায় গুরুতর জখম জহিরুদ্দিনের বাড়িতেও যান মমতা। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। জহিরুদ্দিনের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের কুলগাওয়ে জঙ্গীদের গুলিতে গুরুতর জখম জহিরুদ্দিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। দীর্ঘ চিকিৎসা প্রক্রিয়া সেরে একটু সুস্থ হতেই অবশেষে গত শনিবার গভীর রাত্রে বাড়ি ফিরেছেন জহিরুদ্দিন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, কাশ্মীর থেকে চলে আসা প্রত্যেক শ্রমিককে বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে তাঁরা যাতে নতুন করে জীবিকা শুরু করতে পারেন সে জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আরও ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে কুলগামের কাটারসুতে একটি বাড়িতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপরে গুলি চালায় জঙ্গীরা। জঙ্গীদের গুলিতেই নিহত হন মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘির ব্রাহ্মণী গ্রামের ৫ জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হন জাহিরুদ্দিন। এরপরই কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৫ নভেম্বর কাশ্মীর থেকে ফেরা ১৩৪ জন শ্রমিককে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। নিহতদের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।