হস্টেল ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তাল দিল্লীর জেএনইউ চত্বর। ক্রমাগত সেখানে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গতকাল এই আন্দোলন থামাতে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছিল মোদী সরকার৷ সোমবার পুলিশের মারে ক্ষত বিক্ষত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী৷ তবে এইভাবে আন্দোলন-টান্দোলন করে কিচ্ছু হবে না বলে সাফ জানান হিন্দু মহাসভার নেতা স্বামী চক্রপাণি৷ এই সম্পর্কে তিনি এক বিতর্কিত মন্তব্যও করেন। তিনি বলেন, একমাত্র জয় শ্রীরাম জপলেই পড়ুয়াদের ফি কমবে, নচেৎ নয়৷ এই কট্টর হিন্দু সংগঠন দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য অনেকখানি দায়ী বলে মনে করছে জেএনইউ-র আন্দোলনকারীরা৷
স্বামী চক্রপাণি পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, জয় শ্রীরাম জপ করতে হবে নয় তো ভারত মাতা কি জয়, বন্দে মাতরম বলতে হবে তবে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কিছুটা হলেও কমতে পারে। জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীরা বিপথে চলে গিয়েছে। তাঁদের পথে ফেরাতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জেএনইউ-র ছাত্ররা পিজা, বার্গার খেসে সংস্কার হারিয়ে ফেলেছে বলেও দাবি করেন স্বামী চক্রপাণি। সেকারণে জয় শ্রীরাম জপ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হিন্দু মহাসভা নেতার দাবি যে রামের নাম জপ করে সে মর্যাদার মধ্যে থাকে। জেএনইউ-র ছাত্ররা যে বিপথে চলে গিয়েছে তাঁদের সঠিক পথে ফেরাতে এই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে হবে। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল জেএনইউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। গতকাল ছাত্রদের সংসদ অভিযান ঘিরে চরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লীতে। ব্যারিকেড করে ছাত্রদের মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় ছাত্রদের নামে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এমনকি গ্রেফতার হয় জেএনইউর ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ঐশী ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকেও। তবুও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের লড়াই জারি থেকেছে।