তিনি ব্যস্ত থাকেন নিজের ডিউটি করতে। কখন রোদে-জলে দাঁড়িয়ে সামলান যানজট। কিংবা মন্ত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে তাঁর কাঁধে। দৈনন্দিন ব্যস্ততাকে ছাপিয়ে কখনই উঁকি মারতে পারেনি তাঁর শখ। কোথাও যেন উর্দির আড়ালে চাপা পড়ে গেছে সেই শখ। বড়বাবুর সেই থিয়েটার শখকেই আবার উস্কে দিয়ে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য, রবিবার জলপাইগুড়ির সুভাষভবনে এসেছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জেলার বিভিন্ন নাট্যদলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তিনি। মন্ত্রী আসছেন। তাই সুভাষভবনের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন শান্তা শীল। মন্ত্রীকে দেখে এগিয়ে যান। কথাও বলেন মন্ত্রীর সঙ্গে। তাতে রীতিমতো আপ্লুত তিনি। আসলে বালুরঘাটের ছেলের মাথায় একসময় যে ছিল বালুরঘাটের গর্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের স্নেহের হাত।
ছেলেবেলা থেকে বড়বেলা, দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বহু মঞ্চে। আজ পেশার তাগিদে মঞ্চ ছেড়ে চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে যানজট সামলাচ্ছেন শান্তা শীল। কিন্তু ভালবাসাটা যাবে কোথায়? রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আসতে দেখে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। এগিয়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রীর কাছাকাছি। সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় রীতিমতো মুগ্ধ জলপাইগুড়ির ট্রাফিকের বড়বাবু। বললেন, ‘‘খুব ভাল লাগল কথা বলে। তবে আমার চাপা আক্ষেপটাকেও উস্কে দিলেন উনি।’’ এইভাবেই মন্ত্রীর কথায় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ব্যস্ত ‘বড়বাবু’। আবারও তাঁকে মঞ্চ টানছে, আর সেই টানেই হয়তো কোনোদিন দেখা যাবে কোনো নাটকের মঞ্চে কোনো এক চরিত্রে।