বেফাঁস মন্তব্য করায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনি কখনও বলেন ‘মহাভারতের সময়ে স্যাটেলাইট অস্তিত্ব’, আবার কখনও নিদান দেন, ‘শিল্প আনার থেকে গো-পালন ভালো’। ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যখনই মুখ খুলেছেন বিপ্লব দেব। তখনই জন্ম নিয়েছে নতুন নতুন বিতর্ক৷ এবার যেমন মুঘলরা বোমা মেরে ত্রিপুরাকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করলেন তিনি৷ যদিও এর ঐতিহাসিক সত্য উদঘাটনের দায় তাঁর নয়৷ তিনি বলেই খালাস৷
প্রসঙ্গত, আগরতলার এক ক্লাবের আয়োজিত শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়ে গিয়ে বিপ্লববাবু বলেন, ‘ত্রিপুরায় এখনও এমন অনেক সম্পদ আছে, যা অনেকের অজানা। কিন্তু মুঘলরা বোমা মেরে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল ত্রিপুরার শিল্প এবং স্থাপত্য।’ ব্যাস আর যায় কোথায়। আরও এক বৈপ্লবিক বাণী শুনে ইতিমধ্যেই হাসির রোল পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কটাক্ষ ধেয়ে আসছে বিরোধীদের দিক থেকেও।
ওই মন্তব্যের পাশাপাশি জনগণের প্রতি বিপ্লবের আহ্বান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন ত্রিপুরার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, সৌন্দর্য, এবং ঐতিহ্যের কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতেও বলা হয়, ‘সবাই যদি অন্তত পাঁচটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে (সোশ্যাল মিডিয়ায়) পোস্ট করেন, তবে ত্রিপুরা পর্যটনের আর বিশেষ বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন হবে না, সারা বিশ্বে ত্রিপুরার জনপ্রিয়তা আপনা থেকেই ছড়িয়ে যাবে।’ কিন্তু মুঘলরা ত্রিপুরার কোন কোন ঐতিহাসিক স্থাপত্যে ‘বোমা মারতে’ চেয়েছিল, তা স্পষ্ট করা হয়নি ওই বিবৃতিতে।