অযোধ্যা মামলার পর সুপ্রিম কোর্টের দিকে সারা দেশ তাকিয়ে ছিল শবরীমালা মামলার রায়ে দিকে। সেখানেই সবার জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালত। তবে সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনা আপাতত বৃহত্তর বেঞ্চের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। এই অবস্থায় শনিবার বিকেলে আগামী ৪১ দিনের জন্য খুলে গেল শবরীমালা মন্দির। কিন্তু, তার প্রথম দিনেই দরজা বন্ধ থাকল প্রমীলাকুলের কাছে। ১৮টি ‘পবিত্র পদক্ষেপ’ করার আগেই ফিরতে হল তাঁদের।
যে বাম সরকার কয়েকমাস আগেই মহিলাদের প্রায় কমান্ডো অপারেশনের স্টাইলে, কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে মন্দিরে ঢুকিয়েছিল। এখন তাদের অবস্থানই বদলে গেলে পুরোপুরি। মন্দির আন্দোলনের জন্য নয় জানিয়ে দেওয়া হল পরিষ্কার। দশ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকলেও, মন্দিরে প্রবেশ করতে গেলে মহিলাদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা আদৌ মিলবে কি না তা নিয়ে ফয়সালা হয়নি। তাই মন্দিরে ঢোকার আগেই ফিরিয়ে দেওয়া হল অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী দশজন মহিলা দর্শনপ্রার্থীকে। রাজ্য প্রশাসন কার্যত হাত তুলে নিয়েছে। তাদের স্পষ্ট জবাব, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। মন্দির চত্বর শুধুই ভক্তদের জন্য উন্মোচিত। তবে আন্দোলনের জন্য নয়।
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বিচারপতি আর নরিমান, এ এম খানউইলকর, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রার সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দেয়। জানায়, বয়সসীমা নির্বিশেষে যে কোনও মহিলা কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভক্তদের বিক্ষোভের কারণে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট, যা গত বৃহস্পতিবারের রায়েও নিষ্পত্তি হয়নি। বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করে সর্বোচ্চ আদালত। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘সব পক্ষকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া উচিত।’ ফলে শনিবারেও শবরীমালার দরজা বন্ধই থাকল প্রমীলাকুলের কাছে।