ভাইফোঁটা পরবর্তী সময়ে ফের খবরের শিরোনামে শোভন-বৈশাখী ও রত্না। ফের দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা। তবে এবার এক কদম এগিয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, ভাইফোঁটার দিন বিকেলে শোভনের ফোন থেকে রত্নাকে একাধিক অশালীন মেসেজ পাঠানো হয়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ করে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে পর্ণশ্রী থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
ঘটনার সূত্রপাত ভাইফোঁটার দিন বিকেলে। রাজ্য রাজনীতির সকলকে চমকে দিয়ে সেদিন কালীঘাটে দলনেত্রীর বাড়িতে বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী । অভিযোগ, সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের হোয়াটসঅ্যাপে শোভনের নাম্বার থেকে তিনটি মেসেজ আসে। রত্নার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেসেজ গুলিতে লেখা ছিল, ‘সত্যের জয় হলো, বৈশাখীর সম্মানের জন্য লড়লাম তো? এবার আমাকে মিউচুয়াল ডিভোর্স দাও।’ জানা গিয়েছে, এরপরেই রত্না চট্টোপাধ্যায় পাল্টা উত্তরে লিখেন, ‘সে গুড়ে বালি, কিছুতেই তোমাকে মিউচুয়াল ডিভোর্স দেবো না।’ এরপর শোভনের নম্বর থেকে মেসেজ আসে, ‘তবে তুই মর।’ পাল্টা উত্তরে রত্না লেখেন, ‘শকুনের অভিশাপে গরু মরে না।’ এই ভাবেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।
অভিযোগ, বচসায় জড়াতেই শোভনের নাম্বার থেকে একাধিক অশালীন মেসেজ আসতে শুরু করে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান শোভন-পত্নী। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি জানান, এই ধরনের অশালীন ম্যাসেজ হয়তো সরাসরি শোভন তাঁকে পাঠাননি। এক্ষেত্রে নাম না করে তাঁর ইঙ্গিত শোভন বান্ধবী বৈশাখীর দিকেই। ফের দলনেত্রীর কাছে আসার আনন্দে আত্মহারা হয়ে শক্তি প্রদর্শন করতেই তিনি শোভনের ফোন থেকে রত্নাকে গালিগালাজ করেছেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে সন্দেহ প্রকাশ করেন রত্না। জানা গিয়েছে, এরপরই ক্ষুব্দ হয়ে কালীঘাটে দলনেত্রী বাড়িতে চলে যান শোভন পত্নী। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখান মোবাইলের মেসেজগুলি। সূত্রের খবর, মেসেজগুলো দেখার পর ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রীর নিজেও।