কংগ্রেস এবং জেডিএস-এর বিদ্রোহী বিধায়কদের নিজেদের দলে টানতে সক্ষম হয়েছে গেরুয়া শিবির। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাড়পত্র পেয়েই ১৭ জন বিদ্রোহী বিধায়কের মধ্যে ১৬ জনই বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেন। আর দলে ভিড়তেই উপহার স্বরূপ ভোটের টিকিট। কর্ণাটক বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়বেন ১৩ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। কিন্তু এতেই অসন্তোষ মাথা চাড়া দিয়েছে কর্ণাটক বিজেপির অন্দরে। টিকিট পাওয়ার আশায় নেতৃত্ব জল ঢেলে দিতেই ক্ষোভে ফু্ঁসছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ ডিসেম্বর কর্ণাটকের ১৫ আসনে উপনির্বাচন। এই অবস্থায় সুপ্রিম-ছাড়পত্র পেয়েই তড়িঘড়ি জেডিএস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন এ এইচ বিশ্বনাথ। হানসুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। জেডিএসের বক্তব্য, ২০১৮ সালে কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের সময় ৯০ কোটি টাকার ঋণ ছিল তাঁর। ঋণমুক্ত হতে দেবগৌড়ার সাহায্য চেয়েছিলেন। কেউ সাহায্য করেনি। কোনও মন্ত্রক বা কর্পোরেশন বা নিদেনপক্ষে পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন ভেবেছিলেন। শিকে ছেঁড়েনি। শেষে ছেলেকে রাজনীতিতে আনতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে টিকিট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির একাংশও।
আথানি কেন্দ্রেও অসন্তোষ। দলের হাইকমান্ড উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাবাদিকে প্রার্থী করতে চায়। অথচ টিকিটের আশায় বসে প্রাক্তন বিধায়ক মহেশ কুমাতাহাল্লি। এ নিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। আবার আর শঙ্করকে দলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা কান্তা রাজু। এদিকে, টিকিট না পেয়ে চটেছেন শরৎ বাচ্চেগৌড়াও। বিজেপির সঙ্গে তাঁদের পরিবারের যোগাযোগ দীর্ঘ দিনের। হসকোট নিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন তিনি। তবে শেষমেশ বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন শরৎ। আগস্টেই ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। হসকোটে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। কংগ্রেস মনে করছে, নির্দল প্রার্থী শরৎ তাদেরই সুবিধা করে দেবেন।