শনিবার রাত থেকেই সেখানে আলো নেই, জল নেই। কষ্ট হচ্ছে, তবু কোনরকমে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম মোবাইলে চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। সেটাই সবথেকে কঠিন অবস্থা। বুলবলের পর ঝড়ে বিধ্বস্ত হিঙ্গলগঞ্জে বিদ্যুত্ নেই দিন তিনেক। স্বাভাবিক ভাবেই তাই মোবাইলের চার্জ শেষ। ফলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। আর সেই সুযোগে জেনারেটার বসিয়ে মোবাইল চার্জের ব্যবসা শুরু হয়ে গিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জে। কথায় আছে কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! হিঙ্গলগঞ্জের সাধারণ মানুষদের অবস্থাও এখন প্রায় সেরকমই।
গোটা এলাকা বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন। তিনদিন ধরে বিদ্যুত্ নেই। আলো জ্বলছে না। ফ্যান চলছে না। ফ্রিজ বন্ধ। আর বন্ধ হতে বসেছে মোবাইল চার্জ। সর্বসময়ের সঙ্গী মোবাইলের চার্জ শেষ। সেই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে এবার হিঙ্গলগঞ্জে শুরু হয়েছে মোবাইল চার্জের ব্যবসা। পাড়ার পাড়ায় জেনারেটর বসিয়ে, টেবিল বসিয়ে চলছে মোবাইল চার্জ।প্রতি মোবাইল চার্জে রেট ২০ টাকা। অর্থাৎ ২০ টাকা দিলেই আপনার মোবাইল ফুলচার্জ হয়ে যাবে।
বুলবুলে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে ক্ষতির মাঝেই ব্যবসার পথ খুঁজে পেয়েছেন কেউ কেউ। কামাই ভালই হচ্ছে। আর যাঁরা মোবাইল চার্জ করাচ্ছেন তাঁরাও বলছেন, “ভাগ্যিস জেনারেটর বসিয়ে চার্জের ব্যবস্থা হয়েছে!” ঝড়ের ৫০০-রও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়া গাছে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাও। গাছে কেটে রাস্তা পরিস্কারের কাজ চলছে। চলছে বিদ্যুত্ সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজও। জোরকদমে কাজ শুরু করেছে প্রশাসনও। হিঙ্গলগঞ্জকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর তাঁরাও।