সোমবারই বিজেপির ত্রিশ বছরের মিত্র দল শিবসেনা সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এবার ঝাড়খণ্ডেও শরিকদের নিয়ে ভোটের আগে বিপাকে পড়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। কে ক’টি আসনে লড়বে তা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে দুই শরিক অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও লোক জনশক্তি পার্টির মতের মিল হচ্ছে না। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে পাঁচ দফায়।
এজিএসইউ দলের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে চক্রধরপুর আসন নিয়ে। সেখানে বিজেপি দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতা লক্ষ্মণ গিলুয়াকে। এদিকে এজেএসইউ সেখানে প্রার্থী দিয়েছে। ওই আসনে যাতে দুই শরিক দলের লড়াই না হয়, সেজন্য বোঝাপড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৮১। এজেএসইউ দাবি করেছে, ১৯টি আসনে তাদের লড়তে দিতে হবে। বিজেপি তাদের ন’টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। এজেএসইউ ইতিমধ্যে ১২ টি আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। চারটি আসনে তারা প্রার্থী দিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আসনগুলি হল সিমারিয়া, সিন্দরি, মান্ডু ও চক্রধরপুর।
২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এলজেপি বিজেপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিল। সেবার এলজেপিকে দেওয়া হয়েছিল মাত্র একটি আসন। সেই আসনে দলের প্রার্থী পরাজিত হন। এখন ওই দলকে পরিচালনা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান। তাঁরা দাবি করেছেন, অন্তত ছ’টি আসন দিতে হবে। আসনগুলি হল জারমুন্ডি, নালা, হুসেইনাবাদ, বারকাগাঁও, লাতেহার ও পানকি।
বিজেপি প্রথম দফায় গত রবিবার রাজ্যে ৫২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু শরিকদের সঙ্গে মতবিরোধের ফলে দ্বিতীয় দফা প্রার্থীতালিকা এখনও প্রকাশ করতে পারেনি। রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জামশেদপুর থেকে।
২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ৭২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এজেএসইউ প্রার্থী দিয়েছিল আটটি আসনে। বিজেপি পেয়েছিল ৩৭ টি আসন। এজেএসইউ পেয়েছিল পাঁচটি।