আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদী।
একে আনেকেই ‘আন্ত্রণ কৌশল’ বলে ব্যাখ্যা করছেন। জ্বালানি নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন মুলুকের সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছে ভারতের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান ভারতকে জ্বালানি তেল দেবে বলে জানিয়েও দিয়েছে। এতে মার্কিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলেই মনে করা হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই ট্রাম্পকে প্রধান অতিথি হওয়ার আমন্ত্রণ পাঠায় নয়াদিল্লি।
মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। ট্রাম্প মার্কিন মসনদে বসার পর যে রাষ্ট্রনেতারা প্রথম তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁদের মধ্যে মোদী অন্যতম। পরে ট্রাম্প নিজে মোদীকে ফোন করেন। এরপর মার্কিন সফরে যান মোদী। সেখানেও দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের উষ্ণতা প্রকাশ পায়।
বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক অম্ল মধুর। মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও আবস্থান স্পষ্ট নয় মোদী সরকারের। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন মুলুককে ভারত-বন্ধু হিসেবে তুলে ধরতেই আগ্রহী মোদী সরকার। তাই জ্বালানি নিয়ে ইন্দো-মার্কন সম্পর্কে বন্ধুত্বে ফাটল দেখা দেওয়া মাত্রই সাধারণতন্দ্র দিবসে প্রধান অতিথি হওয়ার পালটা আমন্ত্রণ জানিয়ে তা মেরামতির চেষ্টায় মোদি সরকার।
তবে ভারতের আমন্ত্রণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাড়া দেন কিনা সেদিকেই এখন তাকিয়ে নরেন্দ্র মোদী।