মেজাজ হারালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। রবিবার ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ স্টেডিয়ামে এসি মিলানের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচের ৫৫ মিনিটে তাঁর বদলে পাওলো ডায়বালাকে মাঠে নামান জুভেন্তাসের কোচ মরিসিও সাররি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সিআরসেভেন। গোমড়ামুখে মাঠ ছেড়ে সাইড বেঞ্চের সামনে দাঁড়ানো কোচের সঙ্গে কয়েক মুহূর্ত কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর টানেল দিয়ে হাঁটা লাগান ড্রেসিং-রুমের দিকে। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট তিনেক আগে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যান পর্তুগিজ মহাতারকাটি। বোঝাই যাচ্ছে, মাঝপথে তুলে নেওয়ার ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ।
জুভেন্টাস ম্যানেজার সাররি বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো সতীর্থদের অশ্রদ্ধা করেছে কি না তা আমার জানা নেই। যদি ও খেলা শেষ হওয়ার আগে স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে সেটা সত্যিই সমস্যার। সে ক্ষেত্রে সতীর্থদের সঙ্গে বসেই বিতর্কের সমাধান করতে হবে ওকে।’’ যোগ করেন, ‘‘ক্রিশ্চিয়ানোর সঙ্গে আমার সমস্যা নেই। যদি ও ক্ষুব্ধ হয়ে থাকে, তা হলে সেটা খেলারই অঙ্গ। যে কোনও ফুটবলারই মাঠ ছাড়তে রাজি থাকে না, বিশেষ করে সে যদি দলের সাফল্যের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে। বরং সে মন খারাপ না করলে, সেটাই চিন্তার বিষয়।’’
সাররি যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডোর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত ম্যাচে লোকোমোটিভ মস্কোর বিরুদ্ধেও তাঁর পরিবর্তে ডায়বালাকে ব্যবহার করেছিলেন জুভেন্তাস কোচ। সেদিনও মাঠ ছাড়ার সময় বিরক্তি প্রকাশে ব্যস্ত ছিলেন সিআরসেভেন। গত তিনটি ম্যাচে গোল না পাওয়ায় এমনিতেই মনমেজাজ খারাপ তাঁর। তার উপর পরিবর্ত হিসেব ডায়বালাকে নামানোর সিদ্ধান্ত অহংবোধে ঘা দিয়েছে পর্তুগিজ মহাতারকার।
পর্তুগিজ তারকার আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ইটালি কোচ ফাবিয়ো কাপেলো। তিনি বলেন, ‘‘রোনাল্ডোকে তুলে নিয়ে ঠিকই করেছেন সাররি।’’ আরও বলেন, ‘‘সতীর্থদের শ্রদ্ধা করতে হবে একজন তারকা ফুটবলারকে। ক্রিশ্চিয়ানো চ্যাম্পিয়ন, তা নিয়ে কোনও তর্ক নেই। কিন্তু গত তিন বছরে রোনাল্ডো কাউকে কাটিয়ে বেরোতে পারেনি।’’